Karnataka Assembly Election 2023

কংগ্রেসকে চাপে ফেলে কর্নাটক ভোটেও লড়তে পারে পওয়ারের এনসিপি, কী হবে বিরোধী ঐক্যের?

কর্নাটকে লড়াই করার পিছনে কংগ্রেসের ভোট কাটা নয়, রয়েছে অন্য কারণ। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রফুল পটেল বলেন, ‘‘জাতীয় দলের তকমা ফেরানোর জন্য আমাদের কিছু পদক্ষেপ তো করতেই হবে।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:৫৬
Share:

কর্নাটক ভোটে লড়াই করবে শরদ পওয়ারের এনসিপি। — ফাইল ছবি।

কর্নাটকে আসন্ন বিধানসভা ভোটে লড়তে পারে শরদ পওয়ারের এনসিপি। এমনই খবর পাওয়া যাচ্ছে। সূত্রের খবর, ১০ মে-র ভোটে কর্নাটকের অন্তত ৪০-৪৫টি আসনে লড়াই করার কথা ভাবছে পওয়ারের দল। এত দিন কর্নাটকের লড়াই ছিল বিজেপি, কংগ্রেস এবং জেডিএসের মধ্যে। কিন্তু এনসিপি তাতে ঢুকে পড়লে ভোটের সমীকরণেও বদল আসার প্রবল সম্ভাবনা। যাতে চাপে পড়তে পারে কংগ্রেস।

Advertisement

বৃহস্পতিবারই দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের বাসভবনে বিরোধী ঐক্য পোক্ত করার বৈঠকে বসেছিলেন পওয়ার। রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কথা হয়। তার পর ২৪ ঘণ্টাও কাটল না, শোনা যাচ্ছে আসন্ন কর্নাটক ভোটে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিপি। সূত্রের খবর, পওয়ারের পার্টি কর্নাটকের ৪০ থেকে ৪৫টি আসনে লড়ার কথা ভাবছে। সেই সিদ্ধান্ত যদি সত্যি হয়, তাহলে কর্নাটকের ত্রিমুখী লড়াই চতুর্মুখী হতে চলেছে, বলাই বাহুল্য। কিন্তু আরও বড় সমস্যা বিরোধী ঐক্যকে ঘিরে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পওয়ার যদি প্রকৃতই কর্নাটকে লড়েন, তা হলে তা হবে বিরোধী ঐক্যের পক্ষে একটি বড় ধাক্কা। কারণ হিসাবে তাঁরা বলছেন, কর্নাটকে এনসিপি লড়াই করার অর্থ সরাসরি কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কে ভাগ বসানোর সামিল। এ দিকে কংগ্রেস এ বার কর্নাটকে ক্ষমতায় ফেরার স্বপ্নে মশগুল। সে ক্ষেত্রে এনসিপির ভোট কাটার ফল যদি কংগ্রেসের ‘বাড়া ভাতে ছাই’ হয়, তা হলে আপাত ভাবে বৃহত্তর বিরোধী ঐক্যের সলতে পাকানোর ইতি ঘটবে বলেই মনে করছেন তাঁরা।

Advertisement

যদিও কর্নাটকে লড়াই করার পিছনে কংগ্রেসের ভোট কাটা নয়, রয়েছে অন্য একটি কারণ। তেমনই দাবি এনসিপি নেতৃত্বের একাংশের। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রবীণ এনসিপি নেতা প্রফুল পটেল বলেন, ‘‘জাতীয় দলের তকমা ফেরানোর জন্য আমাদের কিছু পদক্ষেপ তো করতেই হবে।’’

প্রসঙ্গত, আদানি প্রসঙ্গেও পওয়ারের দলের সঙ্গে কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধীদের মতপার্থক্য প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। বিরোধীরা যখন যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) গঠন করে আদানি কাণ্ডের তদন্তের দাবিতে অনড়, সেই সময় পওয়ার দাবি করেছিলেন, জেপিসি নয়, আদালতের নজরদারিতে তদন্ত হোক। সেই সময় বিরোধী ঐক্যে আড়াআড়ি ফাটল দেখা গিয়েছিল। কর্নাটকে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সেই ফাটলই কি আরও বাড়িয়ে তুললেন বহু যুদ্ধের পোড়খাওয়া পওয়ার?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement