অরুন্ধতী রায়। —ফাইল চিত্র।
লেখিকা অরুন্ধতী রায় ও কাশ্মীরের বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের প্রাক্তন শিক্ষক শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ মামলায় অনুমোদনের তীব্র বিরোধিতা করল উপত্যকার দুই রাজনৈতিক দল। ২০১০ সালে দিল্লিতে এক আলোচনা সভায় কাশ্মীর সম্পর্কে তাঁরা প্ররোচনামূলক বক্তৃতা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কাশ্মীরের সমাজকর্মী সুশীল পণ্ডিতের মামলার জেরে এই ঘটনায় এফআইআরের নির্দেশ দেয় দিল্লির মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্ট। তাঁদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ-তেও মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন দিল্লির উপরাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনা।
আজ ন্যাশনাল কনফারেন্সের তরফে সমাজমাধ্যমে বলা হয়েছে, ‘‘এই অনুমোদনের আমরা তীব্র বিরোধিতা করছি। বিরোধী স্বর দমন ও বাক্স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইন প্রয়োগ খুবই উদ্বেগের বিষয়।’’ ন্যাশনাল কনফারেন্সের মতে, ১৪ বছর আগের এই ঘটনার জেরে এখন ইউএপিএ মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ওই বক্তৃতার কথা অনেকে ভুলেই গিয়েছিলেন। ওই বক্তৃতার ফলে জম্মু-কাশ্মীরে পরিবেশ নষ্টও হয়নি। তাদের মতে, ‘‘এ থেকে প্রমাণ হচ্ছে ভোটে ধাক্কা খেয়েও বিজেপি সরকার তাদের কট্টর মনোভাব ছাড়তে রাজি নয়।’’
প্রায় একই সুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। তাঁর কথায়, ‘‘অরুন্ধতী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লেখিকা। পাশাপাশি তিনি ফ্যাসিজ়মের বিরুদ্ধে শক্তিশালী কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছেন। কেন্দ্র মৌলিক অধিকারকে ধ্বংস করছে। হতাশা থেকেই কাশ্মীরের এক প্রাক্তন আইন শিক্ষকের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’