—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ছত্তীসগঢ়ে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত তিন মাওবাদী। গভীর জঙ্গলে গুলির লড়াইয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানা পুলিশের বিশেষ দল, মাওবাদী-বিরোধী ফোর্স যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে ওই তিন জনকে নিকেশ করেছে।
ছত্তীসগঢ়ে তেলঙ্গানার সীমানা সংলগ্ন বিজাপুর জেলায় পুজারী কাঙ্কের জঙ্গলে শনিবার মাওবাদীদের খোঁজে অভিযান চালান নিরাপত্তারক্ষীরা। অন্ধ্র ও তেলঙ্গানা পুলিশের বিশেষ গ্রেহাউন্ডস বাহিনী, তেলঙ্গানার মাওবাদী-বিরোধী বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গলের মধ্যে মাওবাদীদের গুলির লড়াই শুরু হয়। তাদের সহায়তার জন্য ছত্তীসগঢ় পুলিশের একটি দলও সেখানে উপস্থিল ছিল।
সূত্রের খবর, জঙ্গলের ভিতর মাওবাদীদের আস্তানার খোঁজে গিয়েছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে তাদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলেছে। নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে ঘটনাস্থলেই। সেখান থেকে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। দুষ্কৃতী দলের বাকি সদস্যদের খোঁজে ইতিমধ্যে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
কিছু দিন আগে এই বিজাপুরেই নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে আরও এক বার সংঘর্ষ বেধেছিল মাওবাদীদের। এনকাউন্টারে ১৩ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছিল তাতে। নিহতদের তালিকায় তিন জন মহিলাও ছিলেন। তার পর বিজাপুরের জঙ্গলে নতুন করে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
গত জানুয়ারি মাসে ছত্তীসগঢ়ে নিরাপত্তা বাহিনীর শিবিরে হামলা চালিয়েছিল মাওবাদীরা। তাতে তিন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। গুরুতর আহত হয়েছিলেন অন্তত ১৪ জন। তার পর ফেব্রুয়ারি মাসে তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু এবং কেরলের ছ’টি ঠিকানায় মাওবাদীদের গোপন ডেরায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। শীর্ষ স্তরের মাওবাদী নেতার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই অভিযান বলে জানা গিয়েছিল সূত্র মারফত। সে বার বেশ কিছু নথিপত্র, প্রচার-পুস্তিকা, মোবাইল, সিমকার্ড এবং নগদ ১ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা উদ্ধার করেছিল এনআইএ। বিজাপুরে নিরাপত্তারক্ষীদের হামলায় আরও তিন মাওবাদীর মৃত্যু হল।