পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বুধবার বারামুলায় মৃত্যু হয়েছে আঠারোর বছরের এক যুবকের। তাতে ফের অশান্ত উপত্যকা। এর মধ্যেই রাষ্ট্রপুঞ্জকে ফের চিঠি দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।
রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব বান কি মুনকে লেখা চিঠিতে উপত্যকায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ফের তুলেছেন নওয়াজ। সেই নিয়ে তদন্তের জন্য একটি কমিশন পাঠাতে আর্জি জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। ওই চিঠিতে শরিফের অভিযোগ, কাশ্মীর সমস্যা থেকে নজর ঘোরাতেই বালুচিস্তান নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। শরিফের যুক্তি, কাশ্মীরে হিংসা বন্ধ করতে সব রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। সেই কারণেই ফের রাষ্ট্রপুঞ্জের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
আজ উপত্যকার গণমাধ্যম ব্যবস্থা বন্ধের ডাক দিয়েছেন বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। বিক্ষোভকারীদের তারা আহ্বান জানিয়েছেন, দূরদর্শন, রেডিও কাশ্মীর ও রাজ্যের তথ্য দফতর যাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ করে দিতে। পাল্টা পদক্ষেপ করেছে প্রশাসনও। ইতিমধ্যেই লালচক যাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাস্তার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল মুড়ে দেওয়া হয়েছে কাঁটাতারে। পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা পরে বলেছেন, ‘‘আজ কাশ্মীরের কোথাও কার্ফু নেই। তবে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই কয়েকটি স্থানে নিরাপত্তা কড়া করা হয়েছে। যদিও ১৪৪ ধারা উপত্যকার সর্বত্রই জারি আছে।’’ এ দিন সংঘর্ষ চলাকালীন পুলিশের তাড়া খেয়ে ঝিলম নদীতে ঝাঁপ দেয় ১১ বছরের এক কিশোর। পুলিশ জানিয়েছে, তাকে বাঁচানোর সব রকম চেষ্টা করা হয়েছে। তবে আশঙ্কা সে জলে ডুবে মারাই গিয়েছে।
ইতিমধ্যে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন মার্কিন বিদেশ দফতরের এক মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘‘এটি সম্পূর্ণ দু’টি দেশের বিষয়। তবে কাশ্মীরে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার পক্ষপাতী আমেরিকা। সেই উদ্দেশ্যে যে কোনও রকম সদর্থক পদক্ষেপকে স্বাগত।’’