দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের বাড়ির বাইরে অতিথি শিক্ষকদের প্রতিবাদে শামিল পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোৎ সিংহ সিধু। রবিবার নয়াদিল্লিতে। পিটিআই।
ভোটমুখী পঞ্জাবে দিন কয়েক আগে মোহালিতে শিক্ষকদের সরকার-বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। আজ পাল্টা চালে দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবালের বাড়ির সামনে অতিথি শিক্ষকদের ধর্নায় যোগ দিয়ে আম আদমি পার্টি (আপ)-র সরকারকে রাজনৈতিক ভাবে অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন পঞ্জাব কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোৎ সিংহ সিধু।
অধিকাংশ জনমত সমীক্ষায় ইঙ্গিত, পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে কড়া চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলতে পারে কেজরীবালের দল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, পরিস্থিতি যা তাতে পঞ্জাবে অন্য বিরোধী দলগুলির তুলনায় বেশ কয়ক কদম এগিয়ে রয়েছে আপ। বিরোধী হিসাবে পাল্লা ভারী তাদের। তা বুঝেই ভোটমুখী অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় পঞ্জাবে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছেন কেজরীবালও। বিরোধীদের সেই আক্রমণকে ভোঁতা করে দিতে পঞ্জাবের লড়াইকে এ বারে সরাসরি দিল্লির ময়দানে নিয়ে আসলেন সিধু। আজ আন্দোলনরত শিক্ষকদের পাশে থাকতে একেবারে সরাসরি কেজরীবালের বাড়ির সমানে হওয়া বিক্ষোভে শামিল হন পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
দিল্লি সরকারকে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ‘‘২০১৫ সালে কেজরীবাল সরকার নিজেদের ইস্তাহারে ৮ লক্ষ চাকরি ও ১১টি নতুন কলেজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু গত পাঁচ বছরে মাত্র ৪৪০টি নতুন চাকরি হয়েছে দিল্লিতে। শিক্ষকদের যে চাকরি হয়েছে তা সব চুক্তিভিত্তিক। বেকারত্বের হার দিল্লিতে গত পাঁচ বছরে পাঁচ গুণ বেড়েছে।’’
সম্প্রতি দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চন্নীর বিধানসভা এলাকায় সরকারি স্কুলের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। দিল্লির সরকারি স্কুলের সঙ্গে পঞ্জাবের সরকারি স্কুলের তুলনা করে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন তিনি। সিসৌদিয়া দিল্লির সরকারি স্কুলের মান দেখে যাওয়ার জন্য পঞ্জাবের কংগ্রেস নেতাদের আহ্বান জানান। অনেকেই মনে করছেন, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণের পাল্টা জবাব দিতে আজ কেজরীবালের বাড়ির সামনে ধর্নায় ও সরকারের নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রতিআক্রমণ শানালেন সিধু। কংগ্রেসের দাবি, কেজরীবালের শিক্ষানীতি যে আসলে ফাঁপা প্রতিশ্রুতি তা আন্দোলনরত শিক্ষকদের দুর্দশা দেখেই বোঝা যায়।