ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল। ফাইল চিত্র।
শব্দ দূষণ রোধে পশ্চিমবঙ্গে মাইকে ‘সাউন্ড লিমিটার’ বসানোর প্রস্তাব বহু দিনের। কিন্তু ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চ মনে করে, এই ব্যবস্থা গোটা দেশেই কার্যকর হওয়া উচিত। তাই মামলাটি দিল্লিতে ট্রাইবুনালের প্রধান বেঞ্চে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি বি অমিত স্থালেকর এবং বিশেষজ্ঞ-সদস্য অধ্যাপক এ সেন্থিল বেলের ডিভিশন বেঞ্চ।
সাউন্ড লিমিটার নিয়ে মামলা করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। সেই মামলার সর্বশেষ শুনানিতেই গোটা দেশের জন্য এই ব্যবস্থা প্রযোজ্য হওয়া উচিত বলে পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চ জানিয়েছে। সেই মামলায় ইতিপূর্বে রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের হলফনামা তলব করেছিল ট্রাইবুনাল। কিন্তু পর্ষদের হলফনামা ত্রুটিপূর্ণ ছিল। তাই হলফনামা প্রত্যাহার করার আর্জি জানান পর্ষদের কৌঁসুলি। সেই আর্জি অনুযায়ী, হলফনামা বাতিল বলে ঘোষণা করে ট্রাইবুনাল। যদিও মামলাকারী জানান, সাউন্ড লিমিটার কার্যকর করতে পর্ষদ কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা স্পষ্ট ভাবে হলফনামায় জানানো হয়নি। কোনও সাউন্ডবক্স বা মাইক নির্মাতাকে যাতে সাউন্ড লিমিটার ছাড়া পণ্য বিক্রির অনুমতি না-দেওয়া হয় সেই আর্জিও জানান তিনি।
বস্তুত, এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চলছে। বিশেষ কমিটিও গঠিত হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কতটা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আমজনতার অভিজ্ঞতা, পুজোপার্বণ হোক কিংবা নির্বাচন, মাইকের দাপটে সুস্থ মানুষও প্রায় অসুস্থ বোধ করেন। অসুস্থ কিংবা বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের যন্ত্রণা আরও বেশি। এই পরিস্থিতিতে শব্দের উপদ্রব থেকে আদৌ রেহাই মিলবে কি না, সেই প্রশ্নও রয়েছে।