প্রতীকী ছবি।
লকডাউনের সময় মোবাইল-কম্পিউটারের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় সাইবার অপরাধও বেড়েছে। জাতীয় ক্রাইম রেকর্ড বুরো (এনসিআরবি)-র রিপোর্ট বলছে, অন্য অপরাধ কমে এলেও ২০১৯-এর তুলনায় ২০২০-তে দেশে ই-অপরাধ বেড়েছে ১১.৮%। পশ্চিমবঙ্গে অনেক বেশি, ৩৫.৯%। ২০১৯-এ দেশে ৪৪,৭৩৫টি ই-অপরাধের অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছিল। ২০২০-তে সংখ্যাটা বেড়ে হয় ৫০,০৩৫। এই প্রবণতা কেবল ভারতে নয়, গোটা পৃথিবীতেই।
লক্ষণীয় ভাবে মেট্রো শহরের পাশাপাশি এমন অপরাধ পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ছোট শহরেও। ঝাড়খণ্ডের জামতারার মতোই ই-অপরাধের নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়র-চম্বল এলাকা, রাজস্থানের ভরতপুর, মহারাষ্ট্রের পালগড়, উত্তরপ্রদেশের নয়ডা। ওড়িশা, তেলঙ্গনা, উত্তরাখণ্ড, ছত্তীসগড়ের মতো রাজ্যগুলিতে বাড়ছে এই অপরাধ। বৃদ্ধির হার উত্তরাখণ্ডে ১৪৩%, তেলঙ্গানায় ৮৬.৭%। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ (১১,০৯৭টি) দায়ের হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। যদিও তা আগের বছরের তুলনায় ২.৮% কম। পশ্চিমবঙ্গে ২০২০-তে ই-অপরাধের অভিযোগ এসেছে ৭১২টি।
সাইবার অপরাধের শীর্ষে রয়েছে জালিয়াতি। গত বছর ১০,৩৬৪টি অনলাইন জালিয়াতি নথিভুক্ত হয়েছে। ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা খোয়ানোর অভিযোগ ১,১৯৩টি। ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ ২৯৭টি। যার ১০টি পশ্চিমবঙ্গে। এটিএমে জালিয়াতি হয়েছে ২১৬০টি। পশ্চিমবঙ্গে ৩১টি। ওটিপি জেনে নিয়ে টাকা চুরির ঘটনা গোটা দেশে ১০৯১টি ঘটলেও, পশ্চিমবঙ্গে এমন অভিযোগ মাত্র ১টি। ২০১৯-এ প্রতি দশ লক্ষে ৩.৩ জন ই-অপরাধের শিকার হয়েছিলেন। ২০২০-তে তা বেড়ে হয় ৩.৭। যদিও প্রকৃত অপরাধের সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি বলেই মনে করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারা।