নারওয়ালে জোড়া বিস্ফোরণের পর সিসিটিভি ফুটেজে এই ছবিই ধরা পড়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রস্তুতি এবং রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’— অতিরিক্ত এই দুই কারণে উপত্যকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটসাঁট করা হচ্ছে। তার মধ্যেই জম্মুতে জোড়া বিস্ফোরণ। শনিবার জম্মুর নারওয়াল এলাকায় দু’টি বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন অন্তত ৯ জন। বিস্ফোরণের পর ওই এলাকাটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্তও। তবে এই ঘটনায় উপত্যকায় নিরাপত্তার ফাঁকফোকর নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। রাহুলের যাত্রা নিয়েও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, নারওয়ালের যে এলাকায় জোড়া বিস্ফোরণ হয়েছে, সেটি শহরের বাণিজ্যিক কেন্দ্র বলে পরিচিত। পাশাপাশি, ওই এলাকায় গাড়ি মেরামতির ও গাড়ির যন্ত্রাংশের অসংখ্য দোকান রয়েছে। যেখানে দিনভর ব্যস্ততা লেগেই থাকে। শনিবার এই ব্যস্ত এলাকায় আইইডি বিস্ফোরণ হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। জম্মু পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি মুকেশ সিংহ বলেন, ‘‘নারওয়ালের ট্রান্সপোর্ট নগরের ৭ নম্বর ইয়ার্ডে দু’টি গাড়ির মধ্যে বিস্ফোরণ হয়েছে। কী ভাবে বিস্ফোরণ হল, তা খতিয়ে দেখছি আমরা।’’ শনিবার বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ফরেন্সিক এবং বোমা বিশেষজ্ঞেরা। ওই এলাকাটি ঘিরে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে।
বিস্ফোরণে আহতদের উদ্ধার করে এলাকার একটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই হাসপালের সুপার নরেন্দ্র ভাটিয়ালি বলেন, ‘‘আহতদের মধ্যে এক জনের পেটে স্প্লিন্টারের আঘাত লেগেছে। তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।’’
প্রসঙ্গত, ১৪ জানুয়ারি জম্মুতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দাবি ছিল, আগামী ৩ মাসের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্ভেদ্য করে তোলা হবে। ঘটনাচক্রে, তার কয়েক দিনের মধ্যে এই বিস্ফোরণ। এর জেরে রাহুলের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। বৃহস্পতিবার কাশ্মীরে পৌঁছন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল। ১২৫ দিনের যাত্রার শেষে শ্রীনগরে একটি মেগার্যালির মধ্যে এই যাত্রা শেষ হওয়ার কথা। তাতে উপস্থিত হওয়ার কথা প্রায় এক ডজন রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের। তবে জম্মুতে জোড়া বিস্ফোরণে তা কতটা সুরক্ষিত, তা-ও প্রশ্নের মুখে।