ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে জাঠ বলয়ে কৃষকদের ক্ষোভকে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) এবং আরএলডি জোটের একটি বড় অস্ত্র হিসাবেই দেখা হচ্ছে। ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের (বিকেইউ) সভাপতি নরেশ টিকায়েত জোর গলায় এসপি-আরএলডি জোটকে সমর্থন দেওয়ার কথা ঘোষণা করায়, বিজেপির উপর চাপ আরও বেড়েছিল। কিন্তু কিছুটা রহস্যজনক ভাবে সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটে টিকায়েত তাঁর বিবৃতির জন্য দুঃখপ্রকাশ করলেন। জানালেন, কোনও রাজনৈতিক দলকেই তাঁরা সমর্থন করবেন না।
প্রশ্ন উঠেছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নরেশের এই একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে যাওয়ার পিছনে কি বিজেপির কোনও চাপ কাজ করেছে? সূত্রের খবর, নরেশের এই ‘বোধোদয়’ ঘটার ঠিক পরেই বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঞ্জীব বালিয়ানকে টিকায়েত পরিবারের আদি বাসস্থান সিসৌলিতে যেতে দেখা গিয়েছে। নরেশের বক্তব্য, “আমি কিছু ভুলভাল বলে দিয়েছিলাম! এ রকম বলাটা আমার উচিত হয়নি। সংযুক্ত কিসান মোর্চার সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কথা বলা ঠিক নয়।” সূত্রের বক্তব্য, বিকেইউ-এর মুখপাত্র, তাঁর ভাই রাকেশ টিকায়েত তার আগেই স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করা হবে না।
অখিলেশ সিংহ যাদবের দলের মতে, এতে তাদের ভোট ভবিষ্যতে বিশেষ কিছু হেরফের হওয়ার নয়। সমর্থন জানিয়েও তা প্রত্যাহার করার জন্য বিকেইউ সভাপতি নরেশ সম্পর্কে বিরূপ কোনও মন্তব্যও করতে চায়নি তারা। এসপি সূত্রের দাবি, প্রকাশ্যে কোনও দলকে সমর্থন করার জেরে নিজেদের গায়ে বিশেষ রাজনৈতিক শিবিরভুক্ত বা ‘পার্টিজ়ান’ তকমা লাগুক— সঙ্গত কারণেই কিসান ইউনিয়ন তা চাইছে না। তবে গত এক বছর ধরে দিল্লির সীমানায় কেন্দ্রের তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষকদের আন্দোলনের পাশে কোন রাজনৈতিক দল ছিল— কিসান ইউনিয়নগুলি তা ভাল করেই জানে। লখিমপুর খেরি কাণ্ডে দোষীদের শাস্তি, আন্দোলনে মৃত চাষীদের প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ, শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি)-এর আইনি গ্যারান্টির মতো বিষয়গুলি নিয়ে প্রতিটি জনসভাতেই মুখর হচ্ছেন অখিলেশ। জাঠ বলয়ে এগুলিকে নির্বাচনী বিষয় করে তুলেছেন আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধরিও। এসপি-আরএলডি জোট সূত্রের বক্তব্য, কিসান ইউনিয়ন খাতায় কলমে সমর্থন দিক বা না দিক, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে একটি কৃষক ভোটও গেরুয়া শিবিরে পড়বে না।