ছবি: পিটিআই।
বিহারে এক ডজন জনসভা করছেন প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদী। আগামী শুক্রবার ২৩ অক্টোবর সাসারাম দিয়ে শুরু করে নভেম্বরের ৩ তারিখে আরারিয়ায় শেষ হবে সভাগুলি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে বিহারে এসে এই প্রথম জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করার ডাক দেবেন মোদী।
বিহারে ভোটকে বিজেপি কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরসূচি তার প্রমাণ। এক এক দিনের সফরে তিনটি করে জনসভা করবেন মোদী। প্রতিদিন অন্তত একটিতে নীতীশ থাকবেন তাঁর পাশে। যেমন ২৩ তারিখে সাসারামের পাশাপাশি গয়া এবং ভাগলপুরেও সভা করার কথা মোদীর। নীতীশের সঙ্গে মোদীর ব্যক্তিগত সংঘাতের যে অবসান হয়েছে— বিহারে সেই বিজ্ঞাপনটি গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করা প্রয়োজন বিজেপির। আর তেজস্বী যাদবের মতো বিরোধী নেতা বলছেন, বিহারে নীতীশের ভাবমূর্তি তলানিতে। শিল্প আনতে তিনি ব্যর্থ। যুবকদের কাজের ব্যবস্থা করতে না পারায় তাঁদের বাইরে যেতে হচ্ছে। লকডাউন যে ভাবে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রভাবিত করেছে, তার ফল ভোটে পড়বে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নীতীশের ব্যর্থতা নগ্ন করে দিয়েছে কোভিড চিকিৎসায় ব্যর্থতাও।
রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, আরজেডি নেতা তেজস্বীর অভিযোগের সারবত্তা বিজেপিও মানে। তাই নীতীশের ভাবমূর্তির ভরসায় না-থেকে তারা মোদী-ঝড় তুলতে চাইছে বিহারে। সঙ্গে যোগী আদিত্যনাথের ১৮-২০টা জনসভা। গত বিধানসভা নির্বাচনে নীতীশ ছিলেন বিরোধী মহাজোটের নেতা। মোদী প্রচার করেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে। তার আগে ২০১৩-য় বিজেপি মোদীর নাম প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে প্রস্তাব করায় গুজরাত দাঙ্গার প্রসঙ্গ তুলে এনডিএ-র মধ্যে সব চেয়ে বিরোধিতা করেছিলেন নীতীশ। পরে দু’টি লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মোদী বিহারে এলেও, মুসলিম ভোট হারানোর ভয়ে নীতীশ তাঁকে এড়িয়ে গিয়েছেন। তবে এ বার বোধ হয় নীতীশও বুঝছেন— মোদী হাওয়াই ভরসা।