নরেন্দ্র মোদী।
অতীতে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে বেশ কয়েক বার গণসচেতনতার ডাক দিয়েছেন তিনি। কখনও শৌচাগার ব্যবহার, কখনও বা কন্যাসন্তানের সঙ্গে সেলফি তোলা কিংবা জল সংরক্ষণের আর্জি। এ দিন অগস্টের শেষ রবিবারের ওই অনুষ্ঠান থেকে দেশবাসীকে প্লাস্টিক ব্যবহার যথাসম্ভব কম করার আবেদন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ২ অক্টোবর মহাত্মা গাঁধীর দেড়শোতম জন্মবার্ষিকীর দিনটি ‘প্লাস্টিক মুক্ত ভারত’ হিসাবে পালনের জন্য আজ দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানান তিনি।
ভারত-সহ গোটা পৃথিবী প্লাস্টিক দূষণের শিকার। পরিবেশবিদদের মতে, অবিলম্বে ব্যবস্থা না-নিলে প্লাস্টিক দূষণে মানব সভ্যতা অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়বে। চিন্তায় সরকারও। তাই গত ১৫ অগস্ট লালকেল্লার বক্তৃতাতেও প্লাস্টিক বর্জন নিয়ে সরব হয়েছিলেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তৃতার পরেই ভারতীয় রেল সিদ্ধান্ত নেয়, আগামী ২ অক্টোবর থেকে ট্রেন ও স্টেশন চত্বরে প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে। সেই আন্দোলনকে এ বার বৃহত্তর পর্যায়ে নিয়ে যেতে দেশবাসীর পাশাপাশি দেশের সব পুরসভা, গ্রাম পঞ্চায়েত, জেলা প্রশাসন এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থাকে প্লাস্টিক-মুক্ত সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এগিয়ে আসার আর্জি জানান মোদী।
সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখ থেকে গোটা দেশে ‘স্বচ্ছতা হি সেবা’ প্রচারাভিযান শুরু করছে সরকার। সেই অনুষ্ঠানে যুক্ত করা হয়েছে ২ অক্টোবরকেও। মোদী এ দিন বলেন, ‘‘এ বছর মহাত্মা গাঁধীর দেড়শো বছরের জন্মদিনে প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে নতুন গণ-আন্দোলনে নামবেন মানুষ।’’ ২৭ অক্টোবর দেওয়ালি। দেশের কর্পোরেট সংস্থাগুলি কী ভাবে আগামী দু’মাসের মধ্যে তাদের প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশবান্ধব উপায়ে নষ্ট করে ফেলতে পারে, তার রূপরেখা তৈরির উপরেও জোর দিয়েছেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘জমে থাকা প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহার সম্ভব। সেগুলিকে জ্বালানিতে রূপান্তরও করা যায়। সেই দিকগুলি মাথায় রেখে দেওয়ালির আগেই প্লাস্টিক বর্জ্যকে পরিবেশবান্ধব ভাবে নষ্ট করতে হবে।’’
স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মুদির দোকানে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করে গ্রাহকদের পরিবেশবান্ধব থলে দেওয়ার আবেদন জানান মোদী। আজ ‘মন কি বাত’-এ তিনি বলেন, ‘‘ওই আবেদন জনগণকে উৎসাহিত করেছে। গ্রাহকদের বাড়ি থেকে ব্যাগ নিয়ে আসার পরামর্শ দিয়ে বহু দোকানদার দোকানে বোর্ড লাগিয়েছেন। তাতে ইতিবাচক সাড়াও পেয়েছেন।’’