ছবি: পিটিআই।
মোহনদাস গাঁধীর জন্মের সার্ধশতবর্ষকে সামনে রেখে আগামী কাল ‘স্বচ্ছতা সেবা আন্দোলন’ শুরু করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ২০টি গ্রাম বেছে নিতে। কাল ভিডিয়ো কনফারেন্সে এই আন্দোলনের উদ্বোধন করবেন মোদী। কথা বলবেন স্বচ্ছতা অভিযানের কর্মীদের সঙ্গে। সংশ্লিষ্ট মুখ্যমন্ত্রীরা থাকবেন সেই গ্রামে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ থাকবেন ফতেপুর জেলার ১৬০০ বাসিন্দার গ্রাম হাসানপুর সাহনিকে। এই আন্দোলন চলবে ২ অক্টোবর, গাঁধী-জয়ন্তী পর্যন্ত।
প্রধানমন্ত্রী টুইট করে দেশবাসীকে সামিল করতে চেয়েছেন এই আন্দোলনে। সেই সঙ্গে দেশের সংবাদ মাধ্যমের কাছেও আবেদন জানিয়েছেন স্বচ্ছতার এই অভিযানকে সমর্থন করে এগিয়ে আসার জন্য। এর আগে দু’বার দীপাবলিতে বিজেপির সদর দফতরে তাঁর বক্তৃতায় মোদী স্বচ্ছতা অভিযানে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের প্রতি টুইটে তাঁর আহ্বান, ‘‘স্বচ্ছ ভারতের লক্ষ্যে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের সবাইকে আমি কুর্নিশ জানাই। স্বচ্ছ সেবা আন্দোলন বাপুজিকে সম্মান জানানোর সেরা উপায়। আপনারা এগিয়ে আসুন, দেশকে সাফ সুতরো করার এই আন্দোলনকে শক্তিশালী করে তুলুন।’’ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে চার বছর আগে গাঁধীর জন্মদিনেই মোদী শুরু করেছিলেন ‘স্বচ্ছ ভারত মিশন’। টুইট করে মোদী জানিয়েছেন, ‘‘যাঁরা স্বচ্ছ ভারত মিশনে উদয়াস্ত পরিশ্রম করে কাজ করে গিয়েছেন, আমি তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী।’’
রাজনৈতিক সূত্রের অবশ্য বক্তব্য, নির্দিষ্ট ও পরিকল্পিত লক্ষ্য নিয়েই এই স্বচ্ছতা অভিযানের পথে হাঁটছেন মোদী। ক্রমশ এগিয়ে আসছে উনিশের লোকসভা ভোট। তার আগে এক দিকে গাঁধীর সার্ধশতবার্ষিকীকে সামনে রেখে ধারাবাহিক অনুষ্ঠান করে, অন্য দিকে স্বচ্ছতাকে হাতিয়ার করে লোকসভা ভোটের প্রচারে যেতে চাইছেন তিনি। এর আগে গাঁধীর চম্পারণ যাত্রার শতবার্ষিকী নিয়েও অনুষ্ঠান করেছেন মোদী। এটা বল্লভভাই পটেলের মতো গাঁধীকেও কংগ্রেসের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়ার কৌশল মোদীর।
আরও পড়ুন: তেল-টাকা সামলাতে ঘোষণা পাঁচ দফা