ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটের হার থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী নির্বাচনগুলিতে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য দলের নেতৃত্বকে নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, অসম, তামিলনাড়ু, পুদুচেরির বিধানসভা ভোটের ফল বিশ্লেষণ করতে গত কালই প্রথম বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। সেখানে মোদী বলেছেন, ভোটে জয়-পরাজয় হবেই। তবে ফলাফল যা-ই হোক, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের ভোটের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। পাশাপাশি, দলের নেতৃত্বকে তাঁর নির্দেশ— ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের দু’বছরের মধ্যে তৃণমূল কী ভাবে বাংলায় ঘুরে দাঁড়াতে পারল, তারও বিশ্লেষণ করতে হবে।
আগামী কাল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে দিল্লি আসছেন শুভেন্দু অধিকারী। আজ রাতেই তাঁর দিল্লি পৌঁছনোর কথা। কাল অমিত শাহ এবং জে পি নড্ডার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। ঘটনাচক্রে মঙ্গলবার জয়ী ও পরাজিত প্রার্থীদের নিয়ে রাজ্য বিজেপিরও বৈঠক আছে। সেই দিনই শুভেন্দুকে দিল্লিতে ডাকা তাই তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। কোনও কোনও সূত্রের মতে, রাজ্য বিজেপিতে শুভেন্দুকে নিয়ে যাতে নতুন করে কোন্দল না হয়, সেই কারণেই তাঁকে দিল্লিতে ডাক। আবার রাজ্য সরকার শুভেন্দু এবং তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে যে মামলা করেছে, সেই নিয়ে অভিযোগ জানাতে শুভেন্দু দিল্লি যাচ্ছেন বলেও কিছু সূত্রের দাবি।
উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি, পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী ব্যর্থতা, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা কী ভাবে মোকাবিলা করা যায়— এ সব নিয়ে আলোচনা করতে শনি ও রবিবার বিজেপির সাধারণ সম্পাদকদের বৈঠক ডেকেছিলেন দলের সভাপতি জে পি নড্ডা। পরে মোদীর বাসভবনেও আলোচনায় বসেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদকেরা। সূত্রের মতে, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেছেন, নির্বাচনী রাজনীতিতে জয়-পরাজয় আসবেই। কিন্তু তা থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। বিজেপির এক নেতার কথায়, পশ্চিমবঙ্গে প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নিজেদের দুর্গ অটুট রাখতে পেরেছে তৃণমূল। এটা কী ভাবে সম্ভব হল, তা পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের মতে, লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গের আসনগুলি যাতে ধরে রাখা সম্ভব হয়, তার জন্য ঝাঁপাতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।