যুদ্ধ স্মারকের সামনে প্রধানমন্ত্রী। পরে নিজেই টুইট করলেন এই ছবি।
যুদ্ধে নিহত সেনাদের স্মারকেই রাজনীতির মহড়া।
গিয়েছিলেন দিল্লিতে জাতীয় যুদ্ধ স্মারক উদ্বোধন করতে। তার আগে অবসরপ্রাপ্ত ফৌজিদের সামনে পেয়ে আজ গাঁধী পরিবার ও ইউপিএ-সরকারকে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুঝিয়ে দিলেন, লোকসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক প্রচারের কোনও সুযোগই তিনি ছাড়তে নারাজ।
রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তিতে শিল্পপতি অনিল অম্বানীকে ফায়দা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মোদীর বিরুদ্ধে। রাহুল গাঁধীর এই আক্রমণের জবাব দিতে আজ অবসরপ্রাপ্ত ফৌজিদের মঞ্চকে কাজে লাগিয়েছেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘আগের সরকারের কাছে প্রতিরক্ষা চুক্তি মানেই ছিল মুনাফা ও দুর্নীতি। বোফর্স থেকে কপ্টার কেনা— সব তদন্তে একটি পরিবারের দিকেই আঙুল ওঠে। এই তথ্যই অনেক কিছু বলে দেয়।’’ রাফালের আক্রমণের পাল্টা জবাবে মোদী বলেন, ‘‘এ বার ওঁরা পুরো শক্তি কাজে লাগাচ্ছে যাতে এ দেশে রাফাল বিমান আসতে না পারে। কিন্তু সব চেষ্টা জলে যাবে। কয়েক মাসের মধ্যেই দেশের আকাশে রাফাল উড়বে।’’
সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক প্রচার করছেন বলে অভিযোগ এর আগেও উঠেছে। আজ যুদ্ধ স্মারক উদ্বোধনের সরকারি অনুষ্ঠান ও প্রাক্তন ফৌজিদের সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর গাঁধী পরিবারকে আক্রমণ তার থেকেও লজ্জাজনক বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘জাতীয় যুদ্ধ স্মারক জওয়ানদের বলিদানের প্রতীক। আপনার লজ্জাজনক ব্যবহার আর নির্বাচনী বক্তৃতায় একে রাজনীতির আখড়া বানাবেন না। নিজের পদের গরিমা তো বিসর্জন দিয়েছেন। এবার বীরেদের ভূমিতে রাজনৈতিক গালিগালাজ বন্ধ করুন।’’ ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা বলেন, ‘‘এতো বিজেপির জনসভার বক্তৃতা।’’
ইন্ডিয়া গেট চত্বরে ১৭৬ কোটি টাকা খরচে ৪০ একর জমিতে তৈরি জাতীয় যুদ্ধ স্মারকের উদ্বোধন করতে যাওয়ার আগেই আজ মোদীকে নিশানা করেছিলেন রাহুল। পুলওয়ামায় জওয়ানদের উপর হামলার পর থেকেই ‘আধাসেনাদের বলিদান বিফলে যাবে না’ বলে হুঙ্কার দিচ্ছেন মোদী। কংগ্রেস সভাপতি আজ প্রশ্ন তোলেন, মোদী সরকার কেন সুপ্রিম কোর্টে আধাসেনাদের বেতন বাড়ানোর বিরোধিতা করেছিল?
আরও পড়ুন: গুজব ঠেকাতে নিষ্ক্রিয় কেন, দলকে প্রশ্ন মমতার
মোদী অবসরপ্রাপ্ত জওয়ানদের সামনে পাল্টা কটাক্ষ করেন, কিছু লোকের কাছে দেশের থেকে পরিবারের মঙ্গল অনেক বড়। দেশের ইতিহাসে একই পরিবারের গুণগান। তাঁর অভিযোগ, ইউপিএ জমানায় সেনাদের জন্য যুদ্ধ স্মারক তৈরি হয়নি। জাতীয় পুলিশ স্মারকও তৈরি হয়নি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘২০০৯-এ বাহিনী ১ লক্ষ ৮৬ হাজার বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট চেয়েছিল। ২০০৯ থেকে ২০১৪-এ কোনও ব্যবস্থা হয়নি। আমরা এসে ২ লক্ষ ৩০ হাজার বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট কিনে দিয়েছি।’’