সেনাকে সামনে রেখে দেশ জুড়ে জাতীয়তাবাদের আবেগকে আরও তীব্র করতে চাইছে বিজেপি। ভোপালে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ বোঝালেন, তিনি ও তাঁর সরকার কতটাই সেনাদরদি। সেনা অভিযানের কৃতিত্ব নিয়ে রাজনীতি করার জন্য বিরোধীরা তেলেবেগুনে জ্বলছে। যে রাহুল গাঁধী ঘটনার দ্বিতীয় দিনেই নরেন্দ্র মোদীকে তারিফ করেছিলেন, পরে এটি নিয়ে রাজনীতি করার জন্য ‘রক্তের দালালি’-র মতো শব্দও প্রয়োগ করেছেন। সপ্তম বেতন কমিশনে সেনাদের প্রাপ্য দেওয়া হচ্ছে না বলেও সরব হয়েছেন রাহুল। এর জবাব দিয়ে মোদী আজ বলেছেন, ‘‘সপ্তম বেতন কমিশন সুপারিশ করেছে, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের ভিত্তিতে বেতন আড়াই গুণ বাড়ানো হোক। কিন্তু সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এক পদ এক পেনশনের ভিত্তিতে যে বেতন দেওয়া হচ্ছে, তার ভিত্তিতে অবসরপ্রাপ্তদের সুবিধা দেওয়া হোক। তাতে সেনাদের ডবল ফায়দা হলেও সরকারের আপত্তি নেই।’’
এর পরেই মোদী একে একে বর্ণনা করেন, আগের কংেগ্রস সরকার নয়, তাঁর সরকারই বর্তমান ও প্রাক্তন সেনাকর্মীদের প্রকৃত বন্ধু। তাঁর দাবি, এক পদ এক পেনশন নিয়ে আগের সব সরকার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এমনকী, ফৌজিদের বোকা বানাতে বাজেটে ২০০-৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দও করেছে আগের সরকারগুলি। কিন্তু তাঁর সরকারই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালন করেছে। ফৌজিদের আরও কিছু সঙ্গত দাবিও মেনে নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতীয়তাবাদের আবেগকে উস্কে দেওয়ার পাশাপাশি মোদী এ দিন ফের বিশ্বের দেশগুলিকে এই বার্তা দিলেন যে, ভারত আদৌ যুদ্ধবাজ দেশ নয়। তাঁর কথায়, ‘‘পাথরের আঘাত সয়েও আমাদের সেনা কাশ্মীরের বন্যায় সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়েছে। বিদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানের নাগরিকদেরও বাঁচিয়ে এনেছে। আর এই সেনাই প্রয়োজনে মোক্ষম জবাব দিতে পিছপা হয়নি।’’