ফাইল চিত্র।
গত লোকসভা ভোটের প্রচারে সারদা-নারদ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, দিদির পরিবর্তন নকলি পরিবর্তন’। আর একটা লোকসভা ভোটের মুখে সুর পাল্টাল তাঁর। গত কাল তিনি বললেন, মমতা গ্রহণযোগ্য, কিন্তু কংগ্রেস কখনওই নয়।
বিরোধী ঐক্যকে ছত্রভঙ্গ করতে গত কয়েক মাস ধরেই মায়াবতী, মমতা-সহ বেশ কিছু আঞ্চলিক নেতা সম্পর্কে নরম মনোভাব নিচ্ছিল বিজেপি। কিন্তু কাল তেলঙ্গনায় ভোট প্রচারে গিয়ে মোদী সরাসরি বললেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে মমতার ‘গলতিয়াঁ’ (ভুল) থাকলেও রাজ্যের মানুষের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা আছে। এমনকি সে রাজ্যে সিপিএম-ও চলে, কিন্তু কংগ্রেস চলবে না!’’
মোদী আরও বলেন, উত্তরপ্রদেশে ‘মায়া চলেগি, অখিলেশ চলেগা’। কিন্তু কংগ্রেস পরিত্যাজ্য। যে রাজ্য থেকে কংগ্রেস এক বার বিতাড়িত হয়েছে, সেখানে মানুষ আর তাকে ফিরিয়ে আনছে না। বিজেপি সূত্র বলছে, কংগ্রেসকে একঘরে করতে চাওয়ার এই রণকৌশলের পিছনে কারণ তিনটি। প্রথমত, সংসদের অধিবেশন শুরু হবে ১১ ডিসেম্বর। তার আগের দিন রাজধানীতে বিরোধী দলগুলির বৈঠক। তাতে সীতারাম ইয়েচুরি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’জনেই শামিল হচ্ছেন। এই ঐক্য ভাঙতে মরিয়া মোদী।
দ্বিতীয়ত, ২০১৪ সালে বিজেপি ২৮২টি আসন পেলেও এখন যে আর সেই অনুকূল পরিস্থিতি নেই, সেটা বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। শিবসেনা, অকালি দলের মতো পুরনো শরিকরা প্রায়ই ফোঁস করছে। আর তাই পাঁচ বছর আগের ‘একলা চলো রে’ নীতি থেকে সরছে বিজেপি। প্রয়োজনে মমতা-মায়া, এমনকি মুলায়ম-অখিলেশকেও সঙ্গে রাখার প্রয়োজন হতে পারে বুঝে এনডিএ-কে আবার বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রেকর্ড ভোট, মধ্যপ্রদেশে বিজেপি ধন্দে
তৃতীয়ত, মোদীর আপাতত প্রধান নিশানা রাহুল গাঁধী। ২০১৪ সালে তিনি রাহুলকে অবজ্ঞা করেছিলেন। এখন আর সেটা করা যাচ্ছে না। তাই বিরোধীরা যখন মোদীকে বিচ্ছিন্ন করতে তৎপর, রাহুল ও কংগ্রেসকে কোণঠাসা করতে সক্রিয় মোদীও।
আরও পড়ুন: মিজোরামে জয়ী কমিশনই