নরেন্দ্র মোদী।— ফাইল চিত্র।
ভোট বিধানসভার। লড়াইটা লোকসভার। রাজস্থানে নরেন্দ্র মোদী ও রাহুল গাঁধীর ভোটের প্রচারে ফের তা স্পষ্ট হয়ে উঠল। রাজ্যের জন্য দু’চার কথা বলেই মোদী পড়লেন রাহুল গাঁধীকে নিয়ে। নিশানা করলেন তাঁর বিদেশযাত্রাকে। ভিলওয়াড়ায় রাহুলকে কটাক্ষ করে মোদী এ দিন বলেন, ‘‘আমি ছুটি নিয়েছি— এমন কথা কখনও শুনেছেন কি? কখনও শুনেছেন, আমি অলস সময় কাটাতে কোথাও গিয়েছি। কিংবা এক সপ্তাহের জন্য কোথাও হারিয়ে গিয়েছি?’’ এরই পাল্টা রাহুলের প্রতিশ্রুতি, যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করবেন।
মোদী সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন, কর্নাটকে কৃষিঋণ মকুবের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি কংগ্রেস। পোখরানে ভোটের সভায় এর জবাবে রাহুল বলেন, ‘‘আমি মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিই না। কর্নাটক ও পঞ্জাবে চাষিদের জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন, চাষিদের ঋণ মকুব নিয়ে কংগ্রেস কথা রেখেছে কি না।’’
রাজস্থানে আজ অজমেঢ়ে খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির দরগায় যান রাহুল। সেখানে চাদর চড়ান, পরে যান পুষ্করে, ব্রহ্মসরোবরে। ব্রহ্মার মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। কিছু দিন আগেই রাহুলের গোত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি। রাহুল এ দিন পুজো করার সময়ে জানান, তিনি ‘দত্তাত্রেয়’ গোত্রের কাশ্মীরি ব্রাহ্মণ। ভোটের প্রচারে গিয়ে রাহুল যে ভাবে ধর্মস্থানে পৌঁছে যাচ্ছেন এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মোদীকে নিশানা করছেন, তাতে চাপের মধ্যে রয়েছে বিজেপি। যোগী আদিত্যনাথের মতো নেতারাও দিনভর রাহুলকে আক্রমণ করছেন। যোগী যেমন বলছেন, হারের ভয়ে কংগ্রেসের কোনও প্রার্থীই নিজেদের কেন্দ্রে রাহুলকে প্রচারে চাইছেন না। মোদী প্রশ্ন তোলেন রাহুলের ছুটি কাটানো নিয়ে। কংগ্রেস নেতা কমলনাথের পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘মোদীজি কেন যুব সমাজ কিংবা চাষিদের সঙ্কট, বেকারত্ব, কৃষক আত্মহত্যার
কথা তুলছেন না? আসলে রাহুল গাঁধীকে নিয়ে তিনি এতটাই চিন্তিত যে সব সময়েই তাঁর কথাই টেনে আনছেন।’’