নরেন্দ্র মোদী। ছবি—পিটিআই।
কৃষক অসন্তোষের আঁচ যে ভাবে ক্রমবর্ধমান, তার জেরে ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোট নিয়ে এখন থেকেই চাপ বাড়ছে বিজেপি নেতৃত্বের। তাই ভোটের মুখে দাঁড়ানো রাজ্যগুলির পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের জন্যও কোমর বাঁধার প্রস্তুতি নিচ্ছে দল। আর সেই কাজে পুরোভাগে অবশ্যই নরেন্দ্র মোদীর মুখ।
আজ মোদী ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে শ্রাবস্তীর কিংবদন্তি ক্ষত্রিয় রাজা সুহেলদেবের স্মৃতিসৌধের উদ্বোধন করলেন। উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচে মূল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ক্ষত্রিয় রাজার অতীত গৌরবের কথা স্মরণ করানোর পাশাপাশি, সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস মোকাবিলা নিয়েও রাজ্য প্রশাসনের ভূয়সী প্রশংসা করতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীকে। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে যে বিতর্কিত কৃষি আইন নিয়ে পঞ্জাব-হরিয়ানার পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের চাষিরাও বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন, তা নিয়ে নীরবই থাকলেন মোদী।
আজ মোদী বলেন, “করোনার সময়ে যে ভাবে উত্তরপ্রদেশ সব কিছু সামলেছে, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ভেবে দেখুন, উত্তরপ্রদেশের পরিস্থিতি যদি আরও খারাপ হত, তা হলে জাতীয় স্তরে তার কতটা প্রভাব পড়ত। যোগীজির পুরো টিম সব চেয়ে সেরা ভাবে সঙ্কটের মোকাবিলা করেছে।’’ তাঁর মতে, করোনা-কালে উত্তরপ্রদেশ সরকার শুধু যে অসংখ্য মানুষের প্রাণই বাঁচিয়েছে তা-ই নয়, ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরে আসা অসংখ্য শ্রমিকের কাজের ব্যবস্থাও করেছে।