প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
গরিব মানুষের উপকার— দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই মন্ত্র নিয়েই চলতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী।
মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই সব চাষিদের ৬ হাজার টাকার ভর্তুকি, চাষি ও ছোট দোকানদারদের পেনশন প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মোদী সরকারের পরের লক্ষ্য, চাষিদের জন্য ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনা সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা। খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় এ বার চাল-গমের সঙ্গে ভর্তুকি দরে চিনিও দেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, দেশে দু’টি মাত্র জাতি থাকবে। এক, গরিব। দুই, যারা গরিবের উপকার করে। গরিব মানুষের কল্যাণে যে সব প্রকল্প খুব সহজেই রূপায়ণ করা সম্ভব, সেই কাজগুলো প্রথমেই করে ফেলা হবে। বিশেষ করে বিজেপির ইস্তাহারে ঘোষিত প্রতিশ্রুতি দ্রুত পূরণ করতে চাইছে সরকার।’’
নতুন কী কী
• সময়ে শোধ করলে কিসান ক্রেডিট কার্ডে
• ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণের সুদে পুরো ছাড়
• খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে ৮০ কোটি মানুষকে পরিবার পিছু মাসে এক কেজি চিনি ১৩ টাকা দরে
• ২০২২-এর মধ্যে সকলের জন্য পাকা বাড়ির কাজে গতি
• ‘নল সে জল’ প্রকল্পে ২০২৪-এর মধ্যে সব বাড়িতে নলবাহিত জল
খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে এখন ৮০ কোটি মানুষের জন্য চাল-গম দেওয়া হয়। এ বার ওই ৮০ কোটি মানুষের জন্য ১৩ টাকা দরে পরিবার পিছু প্রতি মাসে এক কেজি করে চিনি দেওয়া হবে।
এখন কিসান ক্রেডিট কার্ড থাকলে চাষিরা ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পান। পশুপালন, মাছ চাষের জন্য মেলে ২ লক্ষ টাকা ঋণ। তার জন্য ৭ শতাংশ হারে সুদ দিতে হয়। তবে সময়ের মধ্যে ঋণ শোধ করে দিলে সুদে ভর্তুকি দেওয়া হয় ৩ শতাংশ। এ বার ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণের পুরো সুদটাই ভর্তুকি দেবে সরকার। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঋণ শোধ করে দিলে আর কোনও সুদ দিতে হবে না। দেশের প্রায় ১৪ কোটি ৫০ লক্ষ চাষি পরিবারের মধ্যে এখন প্রায় ৭ কোটি চাষির কাছে কিসান ক্রেডিট কার্ড রয়েছে। ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে আলোচনা করে আরও বেশি কিসান ক্রেডিট কার্ড বিলি করতে চাইছে সরকার।
গরিব মানুষের মাথা গোঁজার জন্য ২০১৫-তেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা চালু করেছিলেন মোদী। লক্ষ্য ছিল, ২০২২-এর মধ্যে সকলের মাথায় ছাদ। কিন্তু তা এখনও লক্ষ্যের থেকে ৫৪ শতাংশ পিছিয়ে। সেই কাজে এ বার আরও গতি আনতে চাইছে মোদী সরকার। তার সঙ্গে ২০২৪-এর মধ্যে সব বাড়িতে নলবাহিত পরিস্রুত জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য ‘নল সে জল’ প্রকল্প কার্যকর করতে চাইছে।