বরিস জনসন এবং নরেন্দ্র মোদী।
ব্রিটেনের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার লক্ষে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে শুক্রবার বৈঠক করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটারে এই বৈঠকের কথা জানিয়ে মোদী লেখেন, ‘আমার বন্ধু ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে আলোচনা হল। পরের দশকে ভারতের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক যাতে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া য়ায়, সে বিষয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতিই আমাদের লক্ষ্য। ব্যবসা, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই সঙ্গে পরিবেশের বদল এবং কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি’।
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই মোদীকে টুইট করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ছিলেন বরিস। তখনই তিনি বলেছিলেন ‘দ্রুত দেখা হতে চলেছে’। তার পরিপ্রেক্ষিতেই মোদীর সঙ্গে জনসনের শুক্রবারের আলোচনা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই আলোচনা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ এই কারণে যে, বর্তমানে ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক যথেষ্ট শীতল। অন্য দিকে, আমেরিকাতেও নতুন সরকার আসতে চলেছে। বাইডেনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কোন খাতে বইবে, তা সময়ই বলবে। এই অবস্থায় ব্রিটেনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও উন্নত করার একটা তাগিদ নয়াদিল্লির যে থাকবে, তা অস্বীকার করা যায় না।
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ডের করোনা টিকার তথ্য চুরির চেষ্টা উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারদের
অন্য দিকে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার ফলে তার প্রভাব পড়েছে ব্রিটেনের অর্থনীতিতে। কোভিড অধ্যুষিত বিশ্বে অনেক কিছুই পাল্টে গিয়েছে। চিনের সঙ্গে বর্তমানে ভারতের যে ‘শৈত্য’, তারও প্রভাব এরই মধ্যে পড়েছে ভারতীয় বাজারে। এখন ব্রিটেন চাইছে ভারতের বাজারে প্রভাব বিস্তার করতে দখল নিতে।
সব মিলিয়ে, শুক্রবারে মোদী-জনসনের এই বৈঠক যথেষ্ট ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।