কাশ্মীরে মোদীর ভরসা মনমোহন

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে কাশ্মীরে শান্তি ও আলোচনার পরিবেশ ফেরানোর সুযোগ ছাড়তে চাইছে না নরেন্দ্র মোদী সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৭ ০৫:০০
Share:

ফাইল চিত্র।

উপত্যকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আগামী মাসে কাশ্মীর সফরে যাচ্ছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা মনমোহন সিংহ। জম্মু ও কাশ্মীর ছাড়াও লাদাখেও যাওয়ার কথা তাঁর। সরকারি ভাবে দলীয় সমর্থকদের চাঙ্গা করতে সফরে যাচ্ছেন মনমোহন। কিন্তু প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে কাশ্মীরে শান্তি ও আলোচনার পরিবেশ ফেরানোর সুযোগ ছাড়তে চাইছে না নরেন্দ্র মোদী সরকার।

Advertisement

কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে কড়া দমননীতির রাস্তা নিয়ে উল্টে পরিস্থিতি বিষিয়ে যাচ্ছে বলেই মত ছিল সরকারের একাংশের। এমনকী মোদীর কাশ্মীর নীতি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয় বিজেপির মধ্যেই। দেরিতে হলেও বোধোদয় হয় সরকারের। ১৫ অগস্ট কাশ্মীর নীতিতে পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দেন প্রধানমন্ত্রী। লালকেল্লার মঞ্চ থেকে মোদী বলেন, ‘‘গালি বা গুলি নয়, কাশ্মীরিদের কাছে টানলে তবেই কাশ্মীর সমস্যা মিটবে।’’ সেই পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে তলে তলে হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে আলোচনার জমি প্রস্তুতের কাজ শুরু করে জম্মু-কাশ্মীর সরকার। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সফর সেই আলোচনা প্রক্রিয়ায় গতি আনবে বলেই মনে করছে সব শিবির।

আর তাই মনমোহন সিংহের কাশ্মীর সফরে যাওয়ার বিষয়টি সামনে আসতে তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, মনমোহনের সফর যে কাশ্মীরের মানুষকে বৃহত্তর বার্তা দেবে সে কথা সফরের আগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে জানাবেন মোদী। এর আগে কাশ্মীরে গিয়ে হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বিজেপি নেতা যশবন্ত সিন্‌হা। সূত্রের খবর, যাওয়ার আগে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে এক দফা বৈঠক হয় তাঁর। দমননীতির রাস্তা থেকে সরে যে সরকার যে আলোচনার রাস্তায় ফিরতে চাইছে, হুরিয়ত নেতাদের কাছে সেই বার্তা দিয়েছিলেন যশবন্ত।

Advertisement

বিদায়ী স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব েমহর্ষির অবশ্য দাবি, ‘‘ধরপাকড়ের ফলে পাকিস্তান থেকে সন্ত্রাস বা পাথর ছোড়ায় মদত দিতে যে অর্থ পাঠানো হত তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কাশ্মীরের মানুষ দেখতে পাচ্ছেন যে হুরিয়ত নেতারা হাতে পাথর তুলে দিচ্ছেন তাঁদের ছেলেমেয়েরা বিদেশে পড়ে।’’ মহর্ষির মতে, এখন পাকিস্তানে রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য কাশ্মীরে ইসলামাবাদের সক্রিয়তা কিছুটা কমেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement