রাহুল গাঁধী ও নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
বিজেপির নতুন ভবনে অটলবিহারী বাজপেয়ী ও লালকৃষ্ণ আডবাণীর ছবি উধাও। আজ আডবাণীকে মিষ্টি খাইয়ে, পাশে বসিয়ে ত্রিপুরার বিজয়-উৎসব পালন করলেন নরেন্দ্র মোদী। সব সাংসদ স্লোগান তুললেন, ‘জিত হামারি জারি হ্যায়, অব কর্নাটক কি বারি হ্যায়’। নাগাল্যান্ডের উত্তরীয় গলায় সকলকে দেওয়া হল কামাখ্যা মন্দিরের প্রসাদ।
আর বন্ধ ঘরে মোদীর বক্তব্য, আদর্শের জয় হয়েছে ত্রিপুরায়। বামেরা গোটা বিশ্বে শেষ হয়েছে, ভারতেও বিস্মৃতির মুখে। শুধু কেরলে টিকে আছে। ত্রিপুরা ছোট রাজ্য বলে জয় ছোট নয়। ঐতিহাসিক এই জয়ের পুরো ফায়দা নিতে হবে। শুক্রবার অমিত শাহের সঙ্গে বসে কৌশল ঠিক করতে বলেছেন মোদী।
সকালে বিজেপি সংসদীয় দলের বৈঠকে মোদীর উচ্ছ্বাসে উল্লসিত হয়ে সাংসদেরা যেই না সংসদে ঢুকলেন, বদলে গেল ছবি। দুই কক্ষেই ছেঁকে ধরল বিরোধীরা। কংগ্রেস জোরদার স্লোগান তুলল, ‘নীরব মোদী, মোদী নীরব’। আজ সকালে ঠিক এটাই টুইট করেন রাহুল গাঁধী। টিডিপির সঙ্গে শিবসেনাও নামল আসরে। দেখা গেল, একমাত্র বিজেপি ও তার শরিক অকালি ছাড়া সব দলই কোনও না কোনও বিষয়ে প্রতিবাদ করছে সংসদে। দফায় দফায় ধাক্কা খেয়ে ফের মুলতুবি হল সংসদের দুই কক্ষ।
অন্ধ্রের বিশেষ মর্যাদার দাবিতে টিডিপির প্রতিবাদ চলছিলই। আর আজ মরাঠিকে ‘ক্লাসিকাল’ ভাষা ঘোষণার দাবিতে সরব হল শিবসেনা। রাহুল গাঁধী যখন সংসদ শুরুর আগে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে নীরব মোদী নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, সেই সময়েই তাঁর পাশে মুখর হয় শিবসেনা। রাহুল কালই দলকে জানিয়ে দিয়েছেন, মোদী যতই জয় দিয়ে নজর ঘোরানোর চেষ্টা চালান, কংগ্রেসকে অটল থাকতে হবে নীরবে। সেই অনুযায়ী দল আজ ব্যাঙ্ক-প্রতারণার সব মামলাকে সামনে এনে দেখাল, দুর্নীতির অঙ্ক ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি। আর প্রধানমন্ত্রী এখনও ‘মৌনী-মোদী’ হয়ে আছেন।
প্রাক্তন কূটনীতিক ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপসিংহ পুরীকে সামনে এনে বিজেপি দাবি করল, শিল্পপতি যতিন মেটাকে পালাতে সাহায্য করেছিল ইউপিএ। কংগ্রেসের প্রশ্ন, নীরব মোদী, বিজয় মাল্য, ললিত মোদীকে কে পালাতে দিলেন? সরকার বলেছিল, সংসদে নীরব নিয়ে তারা আলোচনা চায়। এখন বলেছে, আলোচনা করতে হবে ব্যাঙ্কের জন্মলগ্ন থেকে। যাতে নীরব-আলোচনা ঢাকা পড়ে যায়।