—ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর দিন থেকেই নরেন্দ্র মোদী বছরের শেষে গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিচ্ছেন। আগামিকাল উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফল প্রকাশ। প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, শুক্রবারই দু’দিনের সফরে নরেন্দ্র মোদী গুজরাত যাচ্ছেন। খাতায়-কলমে প্রধানমন্ত্রীর সফরে বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচি দেখানো হলেও বিজেপি এই সফরকে কেন্দ্র করেই গুজরাত ভোটের দামামা বাজিয়ে দিতে চাইছে।
সূত্রের খবর, গত রবিবারই বিজেপির গুজরাতের নেতারা কী ভাবে রাজ্যে মোদীকে স্বাগত জানানো হবে, এবং উত্তরপ্রদেশে বিজেপি জিতলে কী ভাবে তা উদযাপন করা হবে, তার পরিকল্পনা সেরে ফেলেছেন। উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফল দেখে ‘রোড শো’-রও আয়োজন করা হতে পারে। ইউক্রেন থেকে ভারতীয় পড়ুয়াদের ফেরাতে ‘অপারেশন গঙ্গা’-র সাফল্যের জন্যও নরেন্দ্র মোদীর নামে জয়ধ্বনি তোলা হবে।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, শুক্রবার থেকে আমদাবাদে আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভাও শুরু হচ্ছে। ১৯৮৮ সালের পরে এই প্রথম আমদাবাদে আরএসএসের বার্ষিক বৈঠক বসছে। বৈঠকে আরএসএসের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত, বিজেপির জাতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা যোগ দেবেন।
২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি কার্যত কান ঘেঁষে জিতেছিল। ১৮২ আসনের বিধানসভায় বিজেপি ৯৯টি আসন পেয়েছিল। রাজ্যে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের অসন্তোষ দূর করতে মুখ্যমন্ত্রী পদে বদল করতে হয়েছে। কংগ্রেস নেতৃত্বের ধারণা, উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ জিতে গেলে ও গুজরাতে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহর গড়ে বিজেপিকে হারানো গেলে ২০২৪-এর আগে খেলা ঘুরে যাবে। বিজেপি নেতৃত্বও তাই গুজরাত নিয়ে সতর্ক।
নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার গুজরাতে পৌঁছে গুজরাত পঞ্চায়েত মহাসম্মেলনে যোগ দেবেন। ওই সম্মেলনে রাজ্যের ৩৩টি জেলার প্রায় ১ লক্ষ পঞ্চায়েত প্রতিনিধি থাকবেন। তার আগে গুজরাতের বিজেপি নেতা, বিধায়কদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী দলের রাজ্য দফতরে বৈঠক করবেন। দু’দিনের সফরে রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ও খেল মহাকুম্ভে উদ্বোধনে যোগ দেবেন মোদী। প্রথমে কোভিডের কারণে গান্ধীনগরে ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাত’ শিল্প সম্মেলন এবং তারপরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে ‘ডিফেন্স এক্সপো’ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রদর্শনী পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই দুই সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্যে যাওয়ার কথা ছিল। তা না হওয়ায় নরেন্দ্র মোদীর দু’দিনের সফরকে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি।