ফাইল চিত্র
কাশ্মীরে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ৪ জইশ জঙ্গি নিহত হয়েছে বৃহস্পতিবার। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না-কাটতেই শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে বসলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে। এর পরেই মোদীর টুইট, ‘আমাদের নিরাপত্তারক্ষীরা আরও একবার তাঁদের সাহসিকতা এবং পেশাদারিত্বের পরিচয় রেখেছে। তাদের সতর্কতার জন্যই জম্মু-কাশ্মীরে তৃণমূল স্তরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উপর আঘাত রোখা সক্ষম হয়েছে’।
গোয়েন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে গতকাল নাগরোটার কাছে বান টোল প্লাজায় একটি ট্রাক থামান জওয়ানরা। সঙ্গে সঙ্গেই ট্রাকের ভিতর থেকে গুলি চালানো শুরু হয়। নিরাপত্তাবাহিনীর পাল্টা গুলিতে নিহত হয় ওই চার জঙ্গি। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর ছিল, কাশ্মীরে আসন্ন জেলা উন্নয়ন পর্ষদের ভোট বানচাল করতে ওই জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণরেখার এ পাশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে পাকিস্তান। এর পর প্রধানমন্ত্রীর এ দিনের এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। ওই বৈঠকে বিদেশসচিব-সহ গুপ্তচর সংস্থার শীর্ষকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গোয়েন্দাসূত্রে খবর, ২৬/১১-র ১২ বছর পর এই সময় ফের জঙ্গিরা আঘাত হানতে পারে ভারতের উপর।
আরও পড়ুন: দু’দিনের জন্য বিনামূল্যে নেটফ্লিক্স! ভারতের দর্শকদের জন্য আসছে সুযোগ
গত অগস্টে জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা বিলোপের পর থেকে এই প্রথম সেখানে কোনও নির্বাচন হতে চলেছে। ২৮ নভেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত আট দফায় জেলা উন্নয়ন পর্ষদের ভোট। গ্রাম পঞ্চায়েতের খালি আসনগুলিতেও ভোট হবে। এমন একটা সময়ে এই অঞ্চলে বড় ধরনের হামলার ছক কষেছে জঙ্গিরা, এমনটাই গোয়েন্দাদের আশঙ্কা।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে দূষণ তীব্র, চিকিৎসকের পরামর্শে গোয়া চলে গেলেন সনিয়া