প্রতীকী চিত্র।
ইভিএম ছেড়ে ফের ব্যালটে ফিরে যাওয়ার যে প্রস্তাব বিরোধী দলগুলির করেছে, তা খারিজ করে দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। আজ রাজ্যসভায় নির্বাচনী সংস্কার সংক্রান্ত আলোচনায় কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘‘পিছনে ফিরে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।’’
গত কয়েক বছর ধরেই ইভিএম কারচুপির অভিযোগে সরব বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেস থেকে তৃণমূল, এসপি থেকে বিএসপি— সব বিরোধী দলের অভিযোগ, ইভিএমে কারচুপি করে লোকসভা ভোটেও জিতেছে নরেন্দ্র মোদীর দল। তাই রাজ্যসভার বিতর্কে ফের ব্যালটে ফিরে যাওয়ার দাবি তোলেন বিরোধীরা। কংগ্রেসের কপিল সিব্বলের অভিযোগ, ‘‘প্রার্থীর নাম ও চিহ্নের তথ্য ইভিএমে ভরার দায়িত্বে থাকেন তৃতীয় কোনও সংস্থার কর্মীরা। সেখানে নির্বাচন কমিশনের কোনও ভূমিকা থাকে না। ফলে তাতে কারচুপি সম্ভব।’’ জবাবে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘‘১৯৯৯ সালের পর থেকে ইভিএম ব্যবহার শুরু হয়েছে। তার পর মনমোহন সিংহ দু’বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিধানসভায় জিতেছেন অখিলেশ, মায়াবতী, মমতারা। এমনকি লোকসভার আগে রাজস্থান-মধ্যপ্রদেশেও কংগ্রেস জিতেছে। শুধু বিজেপি জিতলেই ইভিএমের ঘাড়ে দোষ পড়ে।’’
পুলওয়ামার আবহে হওয়া লোকসভা ভোটে সেনার ছবি ও সেনা সম্পর্কিত প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। বিরোধীদের অভিযোগ, তা সত্ত্বেও বিজেপির বহু প্রার্থী সেনাদের ছবি, বালাকোট হানার সাফল্য নিয়ে প্রচার করেছেন। রবিশঙ্কর পাল্টা বলেন, ‘‘জনতার জানার অধিকার আছে কার হাতে দেশ সুরক্ষিত।’’
বিজেপি দীর্ঘদিন ধরেই এক সঙ্গে লোকসভা ও রাজ্যগুলিতে বিধানসভা নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করছে। দলের যুক্তি, বছরভর ভোট চললে উন্নয়ন ব্যাহত হয়। সিব্বল বলেন, ‘‘মার্কিন রাজনৈতিক ব্যবস্থা দু’দলীয় হলেও সেখানে বছরভর নির্বাচন হয়। কিন্তু তা বলে উন্নয়নের প্রশ্নে তারা পিছিয়ে নেই।’’ রবিশঙ্করের পাল্টা যুক্তি, ‘‘স্বাধীনতার পর থেকে একই সঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট হত। কিন্তু কংগ্রেস অনৈতিক ভাবে বহু রাজ্যে বিধানসভা ভেঙে দেওয়ায় আজ এই অবস্থা।’’