—ফাইল চিত্র।
বিমা ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণের রাস্তা প্রশস্ত করতে বিনা আলোচনাতেই বিল পাশ হয়েছিল গতকাল। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একই পদ্ধতিতে আজ লোকসভায় ফের দু’টি বিল পাশ করিয়ে নিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে ধর্মঘট আটকাতে এসেন্সিয়াল ডিফেন্স সার্ভিসেস বিল নিয়ে বিরোধীরা আপত্তি তুলছিল। সেই বিলটি আজ পাশ হয়েছে লোকসভায়। এ ছাড়া, পাশ হয়েছে ট্রাইবুনাল রিফর্মস বিল। এই বিলটি পাশ করানোর সময়ে ভোটাভুটি চান বিরোধী দলের সাংসদেরা। তা অবশ্য হয়নি। সরকারের তরফে বিল পাশ করানোর পদ্ধতিতে আপত্তি তুলে একে ‘গণতন্ত্রের হত্যা’ আখ্যা দিয়েছেন বিরোধী দলের নেতারা।
পেগাসাস আড়ি-কাণ্ড ও মোদী সরকারের বিতর্কিত কৃষি আইনগুলি নিয়ে লোকসভায় আজও প্রতিবাদ জানান বিরোধীরা। এরই মধ্যে পাশ হয়ে যায় অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে ধর্মঘট নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে আনা বিলটি। আগেই জারি করা অর্ডিন্যান্সের বিকল্প হিসেবে এই বিলটি সংসদে নিয়ে এসেছে সরকার। আজ বিরোধী সাংসদরা স্লোগান দেন লোকসভায়। তার ভিতরে, মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই বিলটি পাশ হয়ে যায়। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, সরকার ইচ্ছে করেই এই বিল নিয়ে আলোচনা এড়াতে চাইছে। বিরোধী দলের সেই অভিযোগ অবশ্য শোনা হয়নি।
একই পদ্ধতিতে ট্রাইবুনাল রিফর্মস বিলটিও বিনা আলোচনায় পাশ করানো নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন বিরোধীরা। তবে ধ্বনিভোটেই ট্রাইবুনাল সংস্কার বিলটি পাশ হয়ে যায়। ট্রাইবুনাল সংস্কার বিলটি সোমবারেই সংসদে পেশ করেছিল মোদী সরকার। তাতে বিভিন্ন ট্রাইবুনালের সদস্যদের মেয়াদ ও নিয়োগের শর্ত স্থির করা হয়েছে। কিন্তু এই বিলে থাকা অনেক শর্তই সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ের বিরোধী। সম্প্রতি অর্থ আইন সংশোধন করে ট্রাইবুনালের চেয়ারপার্সন ও সদস্যদের মেয়াদ ৪ বছর করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু তা খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানায়, ট্রাইবুনালের চেয়ারপার্সন ওই পদে পাঁচ বছর বা তাঁর ৭০ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত থাকবেন। কোনও সদস্য থাকবেন পাঁচ বছর বা তাঁর ৬৭ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত। কিন্তু নয়া বিলে ফের চেয়ারপার্সন ও সদস্যদের পদে থাকার মেয়াদ চার বছর করা হয়েছে।
তৃণমূলের দাবি, বিমা বিল, ট্রাইবুনাল বিল, পাচার রোধ সংক্রান্ত বিল, প্রতিরক্ষা উৎপাদন কেন্দ্রে ধর্মঘট বন্ধ করার বিলগুলি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হোক।