প্রতীকী ছবি।
গুগ্লের প্লে স্টোর থেকে মুছে ফেলা হয়েছে ভারতীয় ১০টি অ্যাপ। পরিষেবা মাসুল না মেটানোর জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে গুগ্ল। তার পরই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ শুরু করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। গুগ্লের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টি আলোচনা করতে চান বলে জানান কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
শুক্রবার থেকে ভারতীয় অ্যাপ সরানোর কাজ শুরু করেছে গুগ্ল। সূত্রের খবর, প্রথম ধাপেই ১০টি অ্যাপ সরানো হয়েছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই আমেরিকার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে ভারতীয় স্টার্ট-আপ মহল। যদিও সংস্থার দাবি, ওই মাসুল তাদের অ্যান্ড্রয়েড ব্যবস্থা ও প্লে স্টোরের সহায়ক পরিবেশ গড়তে সাহায্য করে। গুগ্ল ঠিক কোন কোন অ্যাপ সরিয়েছে, তা অবশ্য প্রকাশ্যে আনা হয়নি। তাদের মধ্যে শাদি, ম্যাট্রিমনি ডট কম, ভারত ম্যাট্রিমনি, অডিয়ো অ্যাপ কুকু এফএম ও দু’একটি ডেটিং অ্যাপ রয়েছে বলে খবর।
গুগ্লের এমন সিদ্ধান্তের খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। বাতিল হওয়া অ্যাপগুলির প্রায় প্রত্যেকটিই কোনও না কোনও স্টার্ট-আপ সংস্থা। এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ভারত ম্যাট্রিমনির প্রতিষ্ঠাতা মুরুগাভেল জানকীরামন দাবি করেন, এটি ইন্টারনেট পরিষেবার ক্ষেত্রে দেশের ‘কালো দিন’। একই সুর শোনা গিয়েছিল কুকু এফএমের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিনোদ কুমার মীনার কণ্ঠেও।
ভারতীয় স্টার্ট-আপ কোম্পানিগুলি যাতে কোনও ক্ষতির মুখে না পড়ে, তা ঠিক করতে উদ্যোগী হলেন অশ্বিনী। তিনি জানান, এ ব্যাপারে দ্রত পদক্ষেপ করা হবে। গুগ্ল কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমেরিকার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার আধিকারিকদের বৈঠকে বসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘‘ভারতের বৃহৎ এবং ক্রমবর্ধমান স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম রয়েছে। তার স্বার্থরক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমি আমাদের স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম সুরক্ষিত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।’’
উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতা কমিশন এর আগে গুগ্লের ১৫%-৩০% পর্যন্ত ওই মাসুল কাঠামো বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু এ সংক্রান্ত মামলায় মাসুল আরোপ করা এবং তা না দিলে অ্যাপ সরানো নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট-সহ দু’টি আদালতের সম্মতি পায় গুগ্ল। কিন্তু তারা ১১%-২৬% মাসুল চাপানোর পরে তা বন্ধ করাতে উদ্যোগী হয় কিছু ভারতীয় স্টার্ট-আপ সংস্থা। তাদের দাবি, একচেটিয়া আধিপত্যের সুযোগে অ্যাপ ব্যবহারের টাকা মেটানোর ক্ষেত্রে শুধু মাত্র তাদের নিজস্ব পদ্ধতিই মানতে সংস্থাগুলিকে বাধ্য করে গুগ্ল।