প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান দিল্লির রাজপথে। ছবি:পিটিআই।
দিল্লিতে শুরু হল ৬৯ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের বর্ণাঢ্য অনুষ্টান এবং কুচকাওয়াজ।
নয়াদিল্লির রাজপথে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সকালে ভারতের সামরিক শক্তির পাশাপাশি সংস্কৃতি এবং উন্নয়নের ছবি তুলে ধরা হল। সাবেকি রেওয়াজ ভেঙে এই বছরে প্রজাতন্ত্রের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আসিয়ানভুক্ত ১০টি রাষ্ট্রের নেতারা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে অমন জওয়ান জ্যোতিতে বীর শহিদদের শ্রদ্ধার্ঘ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে ছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। রাষ্ট্রপতি পদে দায়িত্ব পাওয়ার পর এই বছরই তাঁর প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস। দেশবাসীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি তাঁর বক্তব্য রাখেন। রাষ্ট্রপতির কথায়, ‘‘নানা ধর্ম, বর্ণ এবং সম্প্রদায় সত্ত্বেও সংবিধান মেনেই সমস্ত দেশবাসীর একে অপরের সঙ্গে মৈত্রী এবং একতার সম্পর্কে জড়িত।’’
রাষ্ট্রপতি ভবনে দশ আসিয়ান রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি:এএফপি।
আরও পড়ুন:
সম্মান দিন ভিন্ন মতকে: কোবিন্দ
সাধারণত প্রত্যেক বছর এক জন করে রাষ্ট্রপ্রধানকে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ করা হয়। তবে, এই বছরে মূল চমক একই সঙ্গে দশ জন রাষ্ট্রনেতার উপস্থিতি। থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর, মায়ানমার, কম্বোডিয়া, লাওস এবং ব্রুনেই—এই দশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্রনেতারা আজ দিল্লিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে রয়েছেন। প্যারেড শুরু হয় ওই দশটি রাষ্ট্রের পতাকার সমাহারে। ভারতীয় সেনার হাতে ছিল ওই দশ রাষ্ট্রের পতাকা।