প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর সঙ্গে কোনও কথা বলেন না। দেখা হলে শুধু ‘হ্যালো’ বলেন। একটি বিদেশি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। তাঁর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী প্রায়শই তাঁকে পরিবার তুলে খোঁচা দেন। কিন্তু সন্ত্রাসের শিকার হওয়া ঠাকুরমা এবং বাবার জন্য তাঁকে (রাহুল) যে যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে, তা মোদী দেখতে পান না।
প্রধান বিরোধী দলের নেতার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সুসম্পর্কের উদাহরণ ভারতীয় রাজনীতিতে নতুন নয়। অনেকেই বলেন, তা ভারতীয় গণতন্ত্রের পরম্পরা। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, মোদী বিরোধী নেতার সঙ্গে তেমন যোগাযোগ রাখেন না। ১১ জানুয়ারি রাহুল দু’দিনের সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সফরে যাচ্ছেন। সে দেশেরই এক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, মোদী জমানায় ভেঙে যাচ্ছে পুরনো পরম্পরা। রাহুলকে প্রায়শই ‘পাপ্পু’, ‘শাহজাদা’ বলে কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেস সভাপতির কথায়, ‘‘ মোদীর প্রচণ্ড রাগ। আমাকে ও আমার পরিবারকে তিনি যে সব কথা বলে আক্রমণ করেন, সেগুলি যে অত্যন্ত ঘৃণা এবং রাগের প্রতিফলন, তা বোঝাই যায়।’’
রাহুলের কথায়, ‘‘অস্বীকার করি না, আমাদের পরিবার রাজনীতির পরিবার। কিন্তু রাজনৈতিক পরিবার হওয়ার জন্য আমাদের কী রকম সন্ত্রাসের মুখোমুখি হতে হয়েছে, কতটা যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে তা মোদী দেখতে পান না।’’ প্রচ্ছন্ন কটাক্ষে রাহুলও পাল্টা বলেন, মোদী মসনদে আসার পরে যে কোনও বিষয় মনোযোগে শুনতে শিখেছেন তিনি!
উত্তরপ্রদেশের জোট নিয়েও রাহুলের খোলামেলা জবাব—‘‘মোদীকে হারানোই প্রধান লক্ষ্য। অনেক রাজ্যেই আমরা শক্তিশালী, বিজেপির সঙ্গে আমাদের সরাসরি লড়াই। তবুও সেখানে আমরা জোট করে লড়তে চাইছি। উত্তরপ্রদেশে আমাদের খাটো করে দেখলে ভুল হবে।’’