Narendra Modi

দিল্লি নির্বাচনের মুখে রামমন্দির ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা মোদীর

রামমন্দির নির্মাণের জন্য ট্রাস্ট গঠন করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে তিন মাস সময় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১১:৫১
Share:

লোকসভায় ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা করছেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: টুইটার

রামমন্দির নির্মাণের জন্য ট্রাস্ট গঠন করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে তিন মাস সময় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত বছর ৯ নভেম্বরে শীর্ষ আদালতের ওই রায় দেয়। আর দিল্লি নির্বাচনের ঠিক তিন দিন আগে, বুধবার লোকসভায় সেই ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

এ দিন লোকসভায় মোদী বলেন, ‘‘আমার সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র নামে একটি ট্রাস্ট গঠন করা হবে। ওই ট্রাস্ট রাম মন্দির নির্মাণ ও সেই সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় নিয়ে স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নেবে।’’ এর পরই মোদী সংসদে আহ্বান জানান, ‘‘আসুন অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণকে সমর্থন জানাই।’’ প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই সরকার পক্ষের সাংসদরা সংসদে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি তোলেন। ট্রাস্টি বোর্ডে ১৫ জন সদস্য থাকবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দেয়, অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির হবে। মসজিদ গড়ার জন্য বিকল্প পাঁচ একর জমি দেওয়া হবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে। শীর্ষ আদালত অযোধ্যার বিতর্কিত ওই জমি বোর্ড অব ট্রাস্টের হাতে তুলে দিতে নির্দেশ দেয়। সেই সঙ্গে কেন্দ্রকে ট্রাস্ট গঠনের জন্য তিন মাস সময়ও দেওয়া হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন: শাহিন বাগের শুটারকে আপ সদস্য বলছে পুলিশ, দাবি খারিজ পরিবারের

শীর্ষ আদালত গত বছর নভেম্বরের শুরুতে রায় দিলেও, ট্রাস্ট গঠনের জন্য অনেকটাই সময় ব্যয় করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, ট্রাস্টে কারা থাকবেন সেই নাম বাছাই করতে কিছুটা কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রামমন্দির ইস্যুকে ফের চাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছে বিজেপি। এত দিন ‘উপযুক্ত সময়’-এর অপেক্ষায় ছিল তারা। সুপ্রিম কোর্ট মন্দির নির্মাণের নির্দেশ দিলেও, সেই ইস্যুকে এখনই ফুরিয়ে যেতে দিতে নারাজ বিজেপি। তাই বেশ কিছু দিন অপেক্ষা করার পর, দিল্লি ভোটের মুখে ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা করে ফের হিন্দুত্বের রাজনীতিকেই তুলে ধরেছে তারা।

আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তানি মহল্লায়’ মোদীর জয়ধ্বনি

শুরু থেকেই শাহিন বাগ ও জামিয়া মিলিয়ায় চলা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী প্রতিবাদকে দিল্লির ভোটে টার্গেট করেছে বিজেপি। এ বার সেই সঙ্গে জুড়ল রামমন্দির ইস্যুও। সুপ্রিম কোর্ট ট্রাস্ট গঠনের জন্য যে তিন মাস সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল, তা-ও এখন শেষ হওয়ার মুখে। রাজনৈতিক মহলের অনেকের ব্যাখ্যা, ভোটের আগে ভেবেচিন্তেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করল বিজেপি।

আরও পড়ুন: অন্যায় সইব না, মমতার হুঁশিয়ারি তৃণমূলে

ভোটের মুখে এমন ঘোষণায় কি নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ হল? সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর, এমন প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে নানা মহল থেকে। তবে নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ওই ঘোষণার জন্য কোনও অনুমতির প্রয়োজন নেই। তা নির্বাচনী বিধিও ভঙ্গ করছে না। কারণ, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ দিল্লির ভোটের পরের দিনই শীর্ষ আদালতের দেওয়া ট্রাস্ট গঠনের জন্য তিন মাস সময়সীমা শেষ হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement