শরিক-মান ভাঙাতে আসরে মোদী-অমিত

বিজেপির এক শরিক নেতার বক্তব্য, জোটের বড় দল হিসেবে বিজেপি আগে ‘দাদাগিরি’ করত। এখন বুঝতে পারছে, শরিক ছাড়া গতি নেই। তাই ‘দাদাগিরি’তে রাশ টানছে। যেমন বিহারে নীতীশ কুমারকে এনডিএ-র ‘মুখ’ করে লড়বার কথা এখন বলছে বিজেপি। মহারাষ্ট্রে শিবসেনাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে তাদের পর্যাপ্ত আসন ছাড়া হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৮ ০৪:০৬
Share:

নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। পিটিআইয়ের তোলা ছবি।

চন্দ্রবাবু সঙ্গ ছেড়েছেন। শিবসেনা আলাদা হওয়ার হুমকি দিয়েই যাচ্ছে। অন্য শরিকরাও চাপ বাড়াচ্ছে। ঘরোয়া কোন্দলে এমন জেরবার অবস্থার মধ্যেই এককাট্টা বিরোধীদের কাছে একের পর এক উপনির্বাচনে কুপোকাত হচ্ছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটের আগেই শরিকদের মান ভাঙাতে আসরে নামতে হল নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহকে। এবং মাথা নুইয়েই।

Advertisement

বিজেপির এক শরিক নেতার বক্তব্য, জোটের বড় দল হিসেবে বিজেপি আগে ‘দাদাগিরি’ করত। এখন বুঝতে পারছে, শরিক ছাড়া গতি নেই। তাই ‘দাদাগিরি’তে রাশ টানছে। যেমন বিহারে নীতীশ কুমারকে এনডিএ-র ‘মুখ’ করে লড়বার কথা এখন বলছে বিজেপি। মহারাষ্ট্রে শিবসেনাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে তাদের পর্যাপ্ত আসন ছাড়া হবে। আজ দিল্লিতে অমিত দেখা করেছেন রামবিলাস পাসোয়ানের সঙ্গে। অন্য শরিকদের সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়ানো হচ্ছে। ৭ জুন বিহারে এনডিএ-র বৈঠক ডাকা হয়েছে।

গত লোকসভার সময় বিহারে নীতীশ সঙ্গে ছিলেন না। পরে লালু-কংগ্রেসকে ত্যাগ করে ফের এনডিএ-তে ফিরেছেন। এখন নীতীশকে ‘বড় ভাই’ বলে মানছে বিজেপি। কিন্তু বিজেপির সমস্যা হল, আগামী ভোটে রাজ্যের ৪০টি আসন তাদের ভাগ করে নিতে হবে নীতীশ-পাসোয়ান-কুশওয়াহার দলের সঙ্গে। জেডিইউ আজ জানিয়েছে, লোকসভা ভোটে তারা এনডিএ-র ছাতার তলাতেই লড়বে। কিন্তু আসন নিয়ে কোনও আপস করবে না। পাসোয়ানও আজ বিহারের বিশেষ মর্যাদার দাবি তুলে চাপ বাড়িয়েছেন। কুশওয়াহাও কম যান না। উপনির্বাচনে বিজেপির হার নিয়ে খোঁচা দিয়ে এনডিএ-র বৈঠক ডাকতে বলেছেন।

Advertisement

শরিকি এই চাপের মধ্যে মোদী আজ অসুস্থ জর্জ ফার্নান্ডেজের জন্মদিনে এক দীর্ঘ টুইট করেন। এমনকি করুণানিধির জন্মদিনেও শুভেচ্ছা জানান। বিজেপির এক নেতার বক্তব্য, যে ভাবে বিরোধীরা একজোট হচ্ছে, তাতে শরিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। গতবারের মতো মোদী একার জোরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে সরকার গড়ার জন্য শরিকদের উপর নির্ভর করতে হবে। সেটি বুঝেই এখন থেকে শরিকরা ফোঁস করছেন।

আরও পড়ুন: ভুয়ো ভোটের ছক বিজেপির, বলছে কংগ্রেস

সে কারণে বিজেপিও এখন সমঝোতার বার্তা দিচ্ছে। শরিকি অসন্তোষ নিয়ে মোদী সরকারের মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী বলেন, ‘‘এক সঙ্গে চললে শরিকদের সঙ্গে ঠোকাঠুকি লেগে থাকে। রাজনীতি সব সময়ই সম্ভাবনার খেলা। কিন্তু সকলকে বুঝতে হবে, এক সঙ্গে লড়লেই জয় হবে। আমার বিশ্বাস, ২০১৯ সালেও সব শরিক আমাদের সঙ্গেই লড়বে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement