শপথ নিলেন গুজরাতের নতুন মন্ত্রীরা। ছবি পিটিআই।
প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী। তার পরে বদলে ফেলা হল গোটা মন্ত্রিসভাই। পুরনো মন্ত্রীদের নতুন করে দায়িত্ব না-দিয়ে বরং আজ গোটা মন্ত্রিসভাই বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা। আজ যে মন্ত্রীরা শপথ নিয়েছেন, তাদের জাতপাত ও আঞ্চলিক প্রতিনিধিত্বের ভারসাম্য বজায় রেখেই বেছে নেওয়া হয়েছে বলেই বিজেপির দাবি। দলের ব্যাখ্যা, আসন্ন নির্বাচনের কথা ভেবে সব সমাজের ও রাজ্যের সব প্রান্তের প্রতিনিধিদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
তাৎপর্যপূর্ণ হল মুখ্যমন্ত্রিত্ব চলে যাওয়া বিজয় রূপাণীর কোনও মন্ত্রক জোটেনি। আপাতত তিনি সাধারণ বিধায়ক হিসাবে থাকবেন। তেমনি ভূপেন্দ্র পটেলকে মুখ্যমন্ত্রী করে পটেল সমাজকে বার্তা দিয়ে এক ঝটকায় নিতিন পটেলকেও মন্ত্রিসভা থেকে ছেঁটে ফেলা সম্ভব হয়েছে দলের। তা ছাড়া ভূপেন্দ্রের নাম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ঘোষণা হওয়ার পর থেকে বেসুরো বাজছিলেন নিতিন। তাঁকে বাদ দিয়ে ভূপেন্দ্রকে মুখ্যমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত যে তিনি ভাল ভাবে নেননি, তা-ও প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন নিতিন। তাই তাঁর উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব কেড়ে দলে গুরুত্বহীন করে দেওয়া হল।
আজ যে ২৪ জন মন্ত্রী শপথ নিলেন, তাঁদের মধ্যে ২১ জনই আগে কখনও মন্ত্রী হননি। তা সত্ত্বেও তাঁদের বেছে নেওয়ার পিছনে বিজেপির ব্যাখ্যা, নতুন মুখের পাশাপাশি জাতপাতের সমীকরণ মেনে মন্ত্রিসভায় ওই ২৪ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গুজরাতে অন্যতম প্রভাবশালী হল পাটীদার ও ওবিসি। আজকের মন্ত্রিসভায় ওই দুই শ্রেণি থেকে ছয় জনকে নেওয়া হয়েছে। অতীতে গুজরাতের মন্ত্রিসভায় পাটীদার সমাজের প্রতিনিধিত্ব কম ছিল বলে পটেলদের যে ক্ষোভ ছিল, তা আজকের পরে দূর হবে বলেই আশা করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছ ওবিসি সমাজকে। কারণ রাজ্যের ৪০ শতাংশ জনতা ওবিসি। আদিবাসী সমাজের ভোটের কথা মাথায় রেখে তাঁদের ৪ জন, তপশিলি সম্প্রদায়ের ৩ জন, ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয় সমাজের দু’জন করে মোট ৪ জন ও ১ জন জৈন বিধায়ককে মন্ত্রী করা হয়েছে। সৌরাষ্ট্র ও দক্ষিণ গুজরাতে জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি এবং পাটীদারদের প্রভাব রয়েছে ওই এলাকাগুলি। তাই সৌরাষ্ট্র থেকে ৮ জন ও দক্ষিণ গুজরাত থেকে ৭ জনকে মন্ত্রী করা হয়েছে।