আরিয়ান খান। ফাইল চিত্র।
নিষিদ্ধ মাদক নিয়েই প্রমোদতরীতে উঠেছিলেন শাহরুখ-তনয় আরিয়ান খান। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) পেশ করা পঞ্চনামায় এই দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই পঞ্চনামা জানাচ্ছে, আরিয়ান-সঙ্গী আরবাজ মার্চেন্ট ঘটনার দিন ৬ গ্রাম চরস জুতোয় লুকিয়ে নিয়ে প্রমোদতরীতে উঠেছিলেন।
প্রমোদতরীতে তল্লাশি অভিযানের সময় এনসিবি-র আধিকারিকেরা সাক্ষীদের বয়ান গ্রহণ করেছিল। সেই পঞ্চনামায় বলা হয়েছে, সে সময় এনসিবি-র আধিকারিক আশিস রাজন ‘নারকোটিক্স ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রোপিক সবস্ট্যান্সেস’ (এনডিপিএস) আইন-এর ৫০ নম্বর ধারা অনুযায়ী এক জন গেজেটেড অফিসারের সামনে আরিয়ান এবং আরবাজকে তল্লাশি করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু তাঁরা প্রথমে তাতে রাজি হননি।
পরবর্তী পর্যায়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় আরিয়ান এবং আরবাজের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তাঁদের কাছে কোনও নিষিদ্ধ মাদক রয়েছে কি না। সে সময় আরবাজ তাঁর জুতোয় লুকিয়ে রাখা চরসের কথা স্বীকার করেন। এর পর আরবাজ নিজেই জুতোর ভিতর থেকে সেই মাদক বার করে দেন। এর পর আরিয়ানও জিজ্ঞাসাবাদের মুখে মাদক গ্রহণের কথা স্বীকার করেন। পরীক্ষার পরে আরবাজের কাছে পাওয়া ওই পদার্থ চরস বলে নিশ্চিত হয়েছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, হোয়াটসঅ্যাপে যে কথোপকথনের জেরে আরিয়ানকে এনসিবি মাদকাসক্ত বলছে, তা নেহাতই ‘নির্দোষ’ ফুটবল নিয়ে ছিল বলে আদালতে দাবি করেছিলেন আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডে। কিন্তু সরকারি আইনজীবী অনিল সিংহ দাবি করেন, ফুটবল নয়, সাঙ্কেতিক ভাষায় কোনও মাদক চক্রের সঙ্গে কথোপকথন চালাতেন আরিয়ান। সেই বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখতেই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিল এনসিবি। সেই দাবি মেনে, আরিয়ানকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেয় আদালত।