ছবি: সংগৃহীত।
মণিপুরের সেনাপতি জেলায় আসাম রাইফেলসের এক ক্যাপ্টেনকে আটক করে তাঁর একে-৪৭ রাইফেল কেড়ে নিল নাগা জঙ্গিরা। জঙ্গি নেতাকে গ্রেফতার করায় মহিলা বাহিনী আক্রমণ চালালো আসাম রাইফেলসের কনভয়ে। অবরোধ করা হয়েছে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে।
সেনা ও পুলিশ সূত্রে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনার শুরু। আসাম রাইফেলসের এক ক্যাপ্টেন ও তাঁর সঙ্গীরা এক জঙ্গি নেতাকে গ্রেফতার করতে মায়াংখাং এলাকায় থাকা এনএসসিএন (আইএম) শিবিরে যান। সংঘর্ষবিরতি চুক্তি অনুযায়ী তাদের স্বীকৃত শিবির ও অস্ত্র বহনের অধিকার শুধুই নাগাল্যান্ডে সীমাবদ্ধ। কিন্তু মণিপুরের নাগা অধ্যূষিত এলাকায় তাদের শক্তিশালী ঘাঁটি রয়েছে। আসাম রাইফেলসের দলটিকে ঘিরে ফেলে সশস্ত্র নাগা জঙ্গিরা। তাঁদের এক ক্যাপ্টেনকে আটক করে একে-৪৭ কেড়ে নেওয়া হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় নাগা সংগঠনগুলির নেতারা শিবিরে এসে ক্যাপ্টেনকে ছাড়ান। রাইফেলও উদ্ধার করা হয়। রাতে আসাম রাইফেলস বিরাট বাহিনী নিয়ে ফের শিবিরে হানা দেয়। ক্যাম্পের কম্যান্ডারকে গ্রেফতার করা হয়। খবর পেয়ে শুক্রবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। নাগা মহিলারা আসাম রাইফেলসের একটি কনভয় থামান। ট্রাক ভাঙচুর করা হয়। ওই জঙ্গি নেতাকে ছেড়ে না দেওয়ায় আজও এলাকা উত্তপ্ত। বন্ধ রয়েছে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক। গাইডেওন নামে ওই জঙ্গির পরিবারের দাবি, গোপন জায়গায় রেখে তার উপরে অমানুষিক অত্যাচার চালাচ্ছে জওয়ানরা।
আফস্পা প্রত্যাহার ও অসম রাইফেলসের হানাদারি বন্ধের দাবিতে মহিলারা ব্যানার-পোস্টার নিয়ে অবরোধ চালাচ্ছেন। হাঙ্গামার আশঙ্কায় মায়াংখাংয়ের সব দোকানপাটও বন্ধ। গত বছর মণিপুরে আইএমের এক শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করার পরে বিশাল মহিলা বাহিনী আসাম রাইফেলসের কনভয় আটকে ধৃত জঙ্গি নেতাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এর পর আইএম বাহিনীর হাতে আটক হয়েছিলেন সেনার এক লেফটেন্যান্ট কর্নেল।
আরও পড়ুন: নিজের দেশে বানাতে পারেননি, সেই পাঁচিল ট্রাম্প এ বার দেখে যাবেন ভারতে