প্রতীকী ছবি।
ঝাঁসির একটি বাঁধের জলাধার থেকে শনিবার বিকেলে তিন তরুণীর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। তাঁদের দেহে কোনও রকম আঘাত চিহ্ন না থাকলেও খুনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সেচ দফতরের এক কর্মীর কাছ থেকে খবর পেয়ে ঝাঁসির মউরানীপুর এলাকার সপরার বাঁধের জলাধার থেকে দেহগুলি উদ্ধার করা হয়। তদন্তে জানা গিয়েছে, তিন তরুণীই মউরানীপুরের বাসিন্দা। দু’জন সহোদর বোন ও তৃতীয় জন তাঁদের বন্ধু। তাঁদের নাম, রিনু পুরবর (২৮), ঋতু পুরবর (৩০) এবং রিঙ্কি আর্য (২৬)। ঋতু বিবাহিত ছিলেন।
রিনু ও ঋতুর বাড়ির লোক জানিয়েছেন, বাগেশ্বর জলাধারে যাওয়ার জন্য দুই বোন শুক্রবার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কথা ছিল, তাঁরা শনিবারই ফিরে আসবেন। কী ভাবে সপরার জলাধারে তাঁদের মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এ দিকে, চলন্ত গাড়িতে ধর্ষণের পরে খালের ধারে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হল ২৩ বছরের এক তরুণীকে। বিধ্বস্ত ও জখম অবস্থায় স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেন। উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরের জয়সিংহপুর এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে, রবিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতা এক জন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে একটি এসইউভি দেখে তিনি লিফট চান। বাড়ির পথে বেশ কিছু দূর আসার পরে হঠাৎই গাড়ি ঘুরিয়ে অন্য দিকে নিয়ে যায় গাড়ির চালক। নির্জন একটি স্থানে গিয়ে ধর্ষণ করে ওই তরুণীকে, তার পর তাঁকে জোর করে খালের ধারে ফেলে দিয়ে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয়। স্থানীয়দের সাহায্যে মেয়েটি বাড়ি ফিরলে থানায় অভিযোগ জানায় তাঁর পরিজন।
জয়সিংহপুরের সার্কল অফিসার প্রশান্ত সিংহ জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। ওই গাড়ির চালক তরুণীর পূর্ব পরিচিত ছিল কি না, কোনও ধরনের পুরনো সম্পর্ক ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তল্লাশি চালানো হচ্ছে পলাতক চালককে গ্রেফতার করার জন্য।
পাশাপাশি, রবিবারই একটি বিবৃতিতে উত্তরপ্রদেশের অমেঠীতে এক দলিত কিশোরীর ধর্ষণের কথা জানিয়েছে পুলিশ। গত ৩ অক্টোবর অমেঠীর জামো এলাকার একটি গ্রামে নাবালিকা মেয়েটিকে চাষের খেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে মনু নামের এক ব্যক্তি। তদন্তে জানা গিয়েছে, গ্রামের দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল সাজানোর কাজে যুক্ত ছিল অভিযুক্ত। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।