আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। রবিবার, নাগপুরে। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) পক্ষে ফের জোর সওয়াল করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। বললেন, ‘‘তাঁদের জনসংখ্যা কমাতেই এই আইন এমন রটনা করে মুসলিমদের বিভ্রান্ত করা হয়েছিল। অথচ প্রতিবেশী দেশগুলিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের হেনস্থার হাত থেকে বাঁচাতেই এই আইন হয়েছে। তাঁরা এ দেশে এলে যাতে নাগরিকত্বের অধিকার পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হন সে কতা মাথায় রেখেই এই আইন করা হয়েছে।’’
নাগপুরে রবিবার আরএসএস-এর সদর দফতরে বার্ষিক দশেরা অনুষ্ঠানে সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘সুযোগসন্ধানীরা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছিল। মুসলিমদের বিভ্রান্ত করে প্রতিবাদের নামে হিংসা ছড়ানো হয়েছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। উত্তেজনার সৃষ্টি করা হয়েছিল পরিকল্পিত ভাবে। দেশে অস্থিরতা দেখা দিয়েছিল। পরিস্থিতি পুরোপুরি সামলে নেওয়ার আগেই করোনা সঙ্কটে জড়িয়ে পড়ল দেশ।
ভাগবত জানান সিএএ কখনওই কোনও ধর্মসম্প্রদায়ের মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করতে চায়নি। করেওনি। অযথাই মুসলিমদের বিভ্রান্ত করা হয়েছিল।
ভাগবত এও বলেন, ‘‘সেই অশান্তির আগুন এখনও নিভে যায়নি। সুযোগসন্ধানীরা সেই আগুন ফের উস্কে দিতে চাইছে। করোনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলি এখন মেতে থাকায় তা তেমন প্রচারের আলোয় আসছে না ঠিকই, কিন্তু সুযোগসন্ধানীদের সেই প্রচেষ্টা বন্ধ হয়নি।’’
আরও পড়ুন- তরজা তুঙ্গে ট্রাম্প এবং বাইডেনের
আরও পড়ুন- লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানাল আমেরিকা, চিনের মোকাবিলায় জোটের সওয়াল
এ দিনের ভাষণে ‘হিন্দুত্ব’ নিয়েও বলেন আরএসএস প্রধান। বলেন, ‘‘যাঁরা ধর্ম, সম্প্রদায়ভিত্তিক রাজনীতি করেন হিন্দুত্বই প্রথম তাঁদের শিকার হয়েছিল।’’
ভাগবত জানান সঙ্ঘের হিন্দুরাষ্ট্রের ধারণার মধ্যে কোনও রাজনৈতিক বা অন্য কোনও ক্ষমতালাভের অভিলাষ নিহিত নেই।
করোনা পরিস্থিতির জন্য সঙ্ঘের সদর দফতরের মহর্ষি ব্যাস অডিটোরিয়ামে এ দিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন আরএসএস-এর মাত্র ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক। এ দিন শাস্ত্রপূজাও করেন সঙ্ঘপ্রধান।