নবরাত্রি উৎসবের অনুষ্ঠান। —ফাইল চিত্র।
নয়ডার ঘটনার পর দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে ঘটল আরও একটি উদ্বেগজনক ঘটনা।
নবরাত্রি উৎসবের সময় গুজরাতের গরবায় ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল ‘হিন্দু সংগঠন যুব মোর্চা’। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ঘনিষ্ঠ এই সংগঠনটি ওই উৎসবের সময় হিন্দুদেরও কপালে ‘তিলক’ কেটে আর গায়ে গরুর চোনা ছিটিয়ে গরবায় ঢুকতে বলেছে।
হিন্দু সংগঠনটির সভাপতি রঘুবীর সিং জাদেজা বলেছেন, ‘‘কচ্ছ উপকূলে মান্ডবীর গরবায় নবরাত্রি উৎসবের সময় দুই সম্প্রদায়ের মানুষই যাতে তাঁদের নির্দেশ মেনে চলেন, তার উপর কড়া নজর রাখা হবে।’’
গত বছর বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়া ওই উৎসবে যোগদানকারীদের জন্য আলাদা পরিচয়পত্র চালুর দাবি জানিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘‘নবরাত্রি উৎসবের সময় অম্বা দেবীর পূজা করা হয়। তাই, যাঁরা গো-মাংস খান, ওই সময় তাঁদের গরবায় ঢুকতে দেওয়া যায় না।’’
কয়েক দিন আগে গো-মাংস খাওয়ার ‘অপরাধে’ গ্রেটার নয়ডায় এক জনকে পিটিয়ে মারা হয়। ওই ঘটনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক উত্তরপ্রদেশ সরকারকে কড়া সতর্ক-বার্তা পাঠিয়েছিল। ওই ঘটনার জেরে যাতে উত্তরপ্রদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট না-হয়, অখিলেশ যাদবের সরকারকে তার উপর কড়া নজর রাখতে বলেছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টও চাওয়া হয়েছিল।