জমি নিয়ে নতুন শর্ত মুসলিম পক্ষের

‘‘আদালত এবং সরকার যদি মুসলিমদের আবেগকে কিছুটা হলেও শান্ত করতে চায়, তা হলে ৫ একর জমি অধিগৃহীত এলাকার মধ্যেই দিতে হবে। ওই এলাকায় কবরস্থান, দরগাও রয়েছে।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

অযোধ্যা শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৩৮
Share:

ছবি রয়টার্স।

অযোধ্যায় মসজিদ গড়ার জমি সেখানকার অধিগৃহীত এলাকা থেকেই দিতে হবে বলে দাবি তুললেন মুসলিম সম্প্রদায়ের বিভিন্ন নেতা। তাঁদের অনেকেই জানিয়েছেন, অন্যত্র জমি দেওয়ার চেষ্টা হলে মুসলিম সম্প্রদায় তা ফিরিয়ে দিতে পারে।

Advertisement

অযোধ্যার বিতর্কিত স্থলে রাম মন্দির গড়ে তোলার পাশাপাশি মসজিদ গড়ার জন্য শহরের কোনও একটি এলাকায় ৫ একর জমির বন্দোবস্ত করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় অন্যতম পক্ষ ইকবাল আনসারি আজ বলেন, ‘‘ওঁরা যদি আমাদের জমি দিতে চান, তা হলে আমাদের সুবিধা হয়, এমন জায়গাতেই দিতে হবে। সরকার অযোধ্যায় যে ৬৭ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল, সেখান থেকেই ৫ একর মসজিদ গড়ার জন্য দিতে হবে। না হলে আমরা জমি নেব না।’’ ১৯৯১ সালে অযোধ্যায় বিতর্কিত এলাকা ছাড়াও সংলগ্ন জমি অধিগ্রহণ করেছিল কেন্দ্র। শীর্ষ আদালত অযোধ্যা-রায় দেওয়ার পরে আনসারি জানিয়েছিলেন, এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাবেন না তিনি। আজ অবশ্য নতুন দাবি তুলে ধরলেন তিনি। মুসলিম পক্ষের আর এক মামলাকারী হাজি মেহবুবের মন্তব্য, ‘‘ললিপপ চাই না। সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে, তারা কোথায় জমি দিতে চাইছে।’’

স্থানীয় মৌলবী মৌলানা জালাল আশরফের বক্তব্য, মসজিদ তৈরির জমি মুসলিমরা নিজে থেকেই কিনতে সক্ষম। তবে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আদালত এবং সরকার যদি মুসলিমদের আবেগকে কিছুটা হলেও শান্ত করতে চায়, তা হলে ৫ একর জমি অধিগৃহীত এলাকার মধ্যেই দিতে হবে। ওই এলাকায় কবরস্থান, দরগাও রয়েছে।’’ একই মত অল ইন্ডিয়া মিল্লি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক খালিক আহমেদ খানেরও। অযোধ্যা পুরসভার জনপ্রতিনিধি হাজি আসাদ আহমেদ বলেন, ‘‘সরকার কিংবা আদালত যদি মসজিদের জন্য জমি দিতে চায়, তা হলে অধিগৃহীত ৬৭ একরের মধ্যেই তা দিতে হবে। না হলে আমাদের কোনও রকম দানের প্রয়োজন নেই।’’ আহমেদ এ-ও জানিয়ে দেন, বাবরি মসজিদের পরিবর্তে কোনও জমি গ্রহণ করার ইচ্ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের নেই।

Advertisement

জমিয়ত উলেমা হিন্দের অযোধ্যা অঞ্চলের সভাপতি মৌলানা বাধা খানের মতে, মুসলিমরা বাবরি মসজিদের জন্য লড়েছিল, অন্য কোনও জমির জন্য নয়। তিনি বলেন, ‘‘মসজিদের জন্য কোথাও কোনও জমি চাই না আমাদের। ওই জমি আমরা রাম মন্দিরের জন্যই ছেড়ে দিতে পারি।’’ আর সমাজকর্মী ইউসুফ খানের মতে, মসজিদ নির্মাণের জন্য জমি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ, অযোধ্যায় ইতিমধ্যেই অনেকগুলি মসজিদ রয়েছে। মসজিদের জমির বিষয়ে তাদের অবস্থান ঠিক করতে আগামী ২৬ নভেম্বর বৈঠকে বসছে উত্তরপ্রদেশের সুন্নি সেন্ট্রাল বোর্ড। উত্তরপ্রদেশ সরকার অবশ্য মসজিদ তৈরির জন্য অযোধ্যার আশপাশে বিকল্প জমির খোঁজ শুরু করে দিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement