—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মহারাষ্ট্রের সমুদ্রসেতুর নাম বদল করে বিনায়ক দামোদর সাভারকরের নামে রাখতে চলেছে সে রাজ্যের একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা-বিজেপি জোট সরকার। এ ছাড়াও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ীর স্মরণে মহারাষ্ট্রের নির্মীয়মাণ আর একটি সমুদ্রসেতুর নাম ‘অটল সেতু’ রাখার পরিকল্পনা করেছে সে রাজ্যের সরকার।
গত মাসেই সাভারকরের ১৪০তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যের ভারসোভা-বান্দ্রা সি লিঙ্ক (সমুদ্রসেতু)-এর নাম বদল করে তা সাভারকরের নামে রাখা হবে। বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়টি আলোচনার জন্য ওঠে। বৈঠকে উপস্থিত সব সদস্য প্রস্তাবটি সমর্থন করেন। মহারাষ্ট্র সরকার সূত্রে খবর, মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবে সিলমোহর পড়লেই দ্রুতই তা রূপায়িত করা হবে।
মুম্বই থেকে নবি মুম্বই পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও মসৃণ এবং দ্রুতগামী করে তোলার জন্য মহারাষ্ট্রে তৈরি হচ্ছে মুম্বই ট্রান্স হারবার লিঙ্ক। প্রায় ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সমুদ্রসেতু তৈরির কাজ শেষ হলে এটিই হবে ভারতের দীর্ঘতম সমুদ্রসেতু। নির্মীয়মাণ এই সেতুর নামই রাখা হচ্ছে ‘অটল সেতু’। উল্লেখ্য যে, ভারসোভা-বান্দ্রা সমুদ্রসেতুটি বান্দ্রা-ওরলি সমুদ্রসেতুর সঙ্গে আন্ধেরি শহরকে জুড়বে। মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুধীর মুনগানতিওয়ার বলেন, “এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কের কোনও অবকাশ নেই। কারণ সেতুটির নামকরণ করা হচ্ছে দেশের এক মহান ব্যক্তির নামে।”
মহারাষ্ট্রে শিবসেনা কিংবা বিজেপির মতো দলগুলি সাভারকরকে তাদের অন্যতম রাজনৈতিক ‘আইকন’ বলে মনে করে থাকা। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে সাভারকর চরিত্রটিও কম বিতর্কিত নয়। সেই বিতর্কের আঁচ বহু বার পড়েছে সাম্প্রতিক রাজনীতিতেও। গত মার্চ মাসে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, “আমার নাম সাভারকর নয়, আমার নাম গান্ধী। আর গান্ধী কখনও কারও কাছে ক্ষমা চায় না।” তাঁর এই মন্তব্যের সমালোচনায় সরব হয় বিজেপি, শিবসেনা। এমনকি, রাহুলের সমালোচনায় সরব হয় মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের জোটসঙ্গী দল শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে)-ও।