চিকিৎসকের লালসার শিকার যুবতী। অলঙ্করণে তিয়াসা দাস।
প্রথমে রোগিণীকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ। পরে সেই ভিডিয়ো প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন অত্যাচার চালানোর অভিযোগে ৫৮ বছরের এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করল মুম্বই পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মুম্বইয়ের যোগেশ্বরী এলাকার বাসিন্দা ওই নির্যাতিতা ২০১৫ সালের মে মাসে বংশরাজ দ্বিবেদী নামের চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। সেই সময় ২৭ বছরের ওই মহিলাকে ইঞ্জেকশন দেন ওই চিকিৎসক। তার পরই ওই মহিলা জ্ঞান হারান। সেই সময় তাঁকে ধর্ষণ করে ভিডিয়ো করে রেখেছিলেন ওই চিকিৎসক। সংজ্ঞা না থাকায় বিষয়টি বুঝতে পারেননি তিনি। সে দিন চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন ওই মহিলা। তার পরই তাঁর ফোনে একটি ভিডিয়ো ক্লিপ আসে।
নির্যাতিতার দাবি, সেই ভিডিয়ো নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখান ওই চিকিৎসক। সঙ্গে তার সঙ্গে নিয়মিত যৌন সংসর্গ করার জন্যও চাপ দেন। ওই ভিডিয়ো দেখিয়ে চিকিৎসক তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন ওই নির্যাতিতা মহিলা।
গত বছর ডিসেম্বরে বিয়ে হয় ওই মহিলার। কিন্তু বিয়ের পরও ওই চিকিৎসক ফের শারীরিক সম্পর্কের জন্য চাপ দেন। রাজি না হওয়ায় ৩ অক্টোবর তাঁর স্বামীর মোবাইলে ভিডিয়োটি পাঠিয়ে দেন অভিযুক্ত চিকিৎসক। তখন স্বামীকে গোটা ঘটনা খুলে বলেন ওই মহিলা। তার পর মেঘওয়াদি থানায় অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। এর পরই ওই অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে আপাতত পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাঁচের নীচে শিশু-মৃত্যু সবচেয়ে বেশি ভারতে