সাইকেল দখলে রাখতে পারবে মুলায়ম-শিবলাল জুটি? ছবি: পিটিআই।
সাইকেল নিজেদের দখলে রাখতে জোর লড়াই শুরু হল পিতা-পুত্রের মধ্যে।
মুলায়ম এবং অখিলেশ শিবিরের দড়ি টানাটানিতে সমাজবাদী পার্টির নির্বাচনী প্রতীক ‘সাইকেল’ যে একটা বড় ভুমিকা নেবে, তা বোঝা গিয়েছিল প্রথম থেকেই। প্রতীক নিজেদের দখলে রাখতে সোমবারই নির্বাচন কমিশনে যান মুলায়ম সিংহ যাদব। দিন দু’য়েক বাদে কমিশনে গিয়ে একই দাবি জানিয়ে এসেছে অখিলেশ শিবিরও। দলের প্রায় ৯০ শতাংশ সাংসদ এবং বিধায়কের সমর্থন অখিলেশের দিকে রয়েছে বলে কমিশনের কাছে দাবি করেন রামগোপাল যাদব। বৃহস্পতিবার ফের একই দাবি নিয়ে শিবপালকে সঙ্গী করে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন মুলায়ম। নেতাজির ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, দলের সিংহ ভাগ বিধায়ক এবং সাংসদের সমর্থন যে তাঁর দিকেই রয়েছে, তা প্রমাণ করতেই এই দিল্লি যাত্রা। তবে সেই সংখ্যাটা ঠিক কত, তা নিয়ে মুখ খোলেনি মুলায়ম শিবির।
বছরের প্রথম দিনে অখিলেশের ডাকা কর্মসমিতির বৈঠকে কিন্তু ২০০-রও বেশি বিধায়ক, অধিকাংশ বিধান পরিষদ সদস্য এবং অধিকাংশ সাংসদ হাজির ছিলেন। সেই বৈঠককে অবৈধ ঘোষণা করে মুলায়মের ডাকা পাল্টা বৈঠকে কিন্তু আইনসভার খুব বেশি সদস্যকে হাজির থাকতে দেখা যায়নি। সেই অবস্থায় দাঁড়িয়ে মুলায়ম কী করে ‘বেশির ভাগ’ সদস্যের সমর্থন নিয়ে আজ দিল্লি পৌঁছলেন, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তাঁর পক্ষের নেতারাই।
বসে নেই অখিলেশ শিবিরও। সূত্রের খবর, সাইকেল দখলে রাখতে এ দিনই তাঁর অনুগামী সাংসদ-বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ছেলের পথ চেয়ে কংগ্রেস, বাবার পাশে বিজেপি
নির্বাচন কমিশন কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রতীক নিয়ে নিজেদের মতামত জানায়নি। গরিষ্ঠ সংখ্যক সাংসদ-বিধায়কের সমর্থনের লিখিত প্রমাণ আগামী সোমবারের মধ্যে দাখিল করতে দু’পক্ষকেই নির্দেশ দিয়েছে তারা।
পাঁচ দফা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে ভোট শুরু ৪ ফেব্রুয়ারি। মুলায়ম শিবিরের চিন্তা বাড়িয়ে এবিপি নিউজের সমীক্ষা এগিয়ে রেখেছে অখিলেশকে। তবে রাজ্যে বাপ-বেটা এক সঙ্গে লড়লে সমাজবাদী পার্টি সকলের চেয়ে এগিয়ে থাকবে বলেও আভাস দিয়েছে তারা। আর তাঁরা আলাদা লড়লে এগিয়ে যাবে বিজেপি। কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও এক সঙ্গে লড়লে সপা পেতে পারে ১৪১-১৫১টি আসন। বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে ১২৯-১৩৯টি আসন। কিন্তু আলাদা লড়লে মুলায়মের দল পাবে মাত্র ৯-১৫টি আসন, অখিলেশ ৮২-৯২টি। সে ক্ষেত্রে বিজেপি পেয়ে যাবে ১৫৮-১৬৮টি আসন। এমনই বলছে এই মুহূর্তের সমীক্ষা রিপোর্ট।