উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার তথা রাজনীতিক মুখতার আনসারি। —ফাইল চিত্র।
নব্বইয়ের দশকে কংগ্রেস নেতা অবধেশ রাইকে খুনের দায়ে উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার তথা রাজনীতিক মুখতার আনসারিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল বারাণসীর আদালত। সোমবার দুপুরে আনসারির বিরুদ্ধে আজীবন কারাবাসের সাজা শোনান বারাণসীর সাংসদ-বিধায়ক আদালতের বিশেষ বিচারক অবনীশ গৌতম। অবধেশকে খুনের ৩ দশক পর আনসারির বিরুদ্ধে এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন নিহতের দাদা তথা কংগ্রেস নেতা অজয় রাই।
সোমবার সকালে অবধেশ খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন আনসারি। দুপুর ২টো নাগাদ তাঁর অপরাধের সাজা শোনায় আদালত।
উত্তরপ্রদেশের এই ‘বাহুবলী’ রাজনীতিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, নব্বইয়ের দশকে বারাণসীর লাহুরাবীর এলাকায় অজয়ের বাড়ির সামনে অবধেশকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিলেন তিনি এবং তাঁর সঙ্গীরা। ৩২ বছর আগেকার ওই হত্যাকাণ্ডে আনসারি ছাড়াও ভীম সিংহ, প্রাক্তন বিধায়ক আব্দুল কলিম এবং রাকেশ নায়েক এবং আরও দু’জনের নামে এফআইআর করেছিলেন অজয়।
সোমবার আনসারির বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় শোনার পর অজয় বলেন, ‘’৩২ বছরের দীর্ঘ লড়াইয়ের পর যুদ্ধে জিতেছি আমরা। আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি... আমার কোনও ক্ষতি হলে তার জন্য দায়ী থাকবে বিজেপি সরকার।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, ১৯৯১ সালের ৩ অগস্ট বারাণসীতে অজয়ের বাড়ির সামনে অবধেশের উপর গুলির হামলা চালান আনসারি-সহ কয়েক জন দুষ্কৃতী। একটি গাড়ি থেকে নেমে অবধেশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকেন তাঁরা। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন রক্তাক্ত অবধেশ। গাড়ি রেখেই সেখান থেকে চম্পট দেন আনসারিরা। সে সময় নিজের লাইসেন্সধারী পিস্তল থেকে পাল্টা গুলি চালালেও আনসারিদের ধরতে পারেননি অজয়। হামলায় গুরুতর জখম অবধেশকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
উত্তরপ্রদেশের মউ সদর বিধানসভা কেন্দ্রের পাঁচ বারের বিধায়ক আনসারি অবশ্য আগে থেকে জেলবন্দি ছিলেন। অপহরণ করে খুনের অন্য একটি মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা খাটছেন আনসারি।