চোখে জল অম্বানীর। ছবি : ইনস্টাগ্রাম।
ফুঁপিয়ে কাঁদছেন ভারতীয় ধনীশ্রেষ্ঠ মুকেশ অম্বানী। কান্নার প্রাবল্যে মুখ বিকৃত হয়ে যাচ্ছে তাঁর। চোখ দিয়ে নামছে জলের ধারা। সে ভাবেই মঞ্চের দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। যেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত অম্বানী।
ছোট ছেলের প্রাক্-বিয়ের অনুষ্ঠানে ঢালাও আয়োজন করেছেন মুকেশ। গুঞ্জন, সেই অয়োজনের খরচ ছুঁয়ে ফেলেছে ১০০০ কোটি টাকা! ফলে এমন আলোচনাও চলছে যে, প্রাক্-বিয়ের অনুষ্ঠানেই যদি এই হয়, তবে বিয়েতে না জানি কী হবে! গুজরাতের জামনগরে বসেছে ছোট অম্বানী অনন্ত এবং তাঁর হবু স্ত্রী রাধিকা মার্চেন্টের প্রাক্-বিবাহের আসর। প্রতি মুহূর্তেই অনুষ্ঠানের বিভিন্ন মুহূর্তের ভিডিয়ো ছেয়ে যাচ্ছে সমাজমাধ্যমে। শনিবার ছিল সেই অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় দিন। জামনগরে অনুষ্ঠানস্থলের তেমনই একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে মুকেশকে ওই ভাবে কাঁদতে। একই সঙ্গে দেখা যাচ্ছে অনন্ত মঞ্চে দাঁড়িয়ে কিছু কথা বলছেন।
কী বলছেন কনিষ্ঠ অম্বানী? হবু স্ত্রীকে পাশে নিয়ে অনন্তকে বলতে শেনাা যায়, ‘‘শুধু আমার ভাল লাগার জন্য আমার পরিবারের সদস্যরা দিন-রাত এক করে পরিশ্রম করে এই অনুষ্ঠান সাজিয়েছেন। গত দু’-তিন মাস ধরে কেউ ২-৩ ঘণ্টার বেশি রাত ঘুমোতে পারেননি।’’ অনন্ত যখন এ কথা বলছেন, তখন ক্যামেরা ঘোরে তাঁর পরিবারের সদস্যদের দিকে। বাবা-মা, ভাই আকাশ, দিদি ইশা এবং তাঁদের জীবনসঙ্গিনীরা বসেছিলেন প্রথম সারির আসনেই। প্রত্যেকেই একাগ্র ভাবে শুনছিলেন অনন্তের কথা। মুকেশও শুনছিলেন।
এর পরেই নিজের দীর্ঘ দিনের শারীরিক সমস্যার কথা বলতে শুরু করেন অনন্ত। বলেন, ‘‘আমার জীবন কখনও গোলাপের পাপড়িতে বিছানো ছিল না। কাঁটার যন্ত্রণাও আমাকে অনুভব করতে হয়েছে। ছোটবেলা থেকেই শারীরিক নানা সমস্যায় ভুক্তভোগী আমি। কিন্তু আমার বাবা এবং মা কখনওই সেই ভোগান্তি আমাকে বুঝতে দেননি। বরাবর আমার পাশে থেকেছেন।’’ ছেলের অসুস্থতা এবং তার জীবনের সফরের কাহিনি শুনেই কেঁদে ফেলতে দেখা যায় মুকেশকে। প্রথমে কান্না চাপতে গিয়ে তাঁর মুখ বিকৃত হয়ে যায়। তার পরে কেঁদেই ফেলেন মুকেশ।
প্রসঙ্গত, তিন দিনের অনুষ্ঠানে অনন্তের নিজস্ব বিশেষ উদ্যোগ ‘বনতারা’র বিষয়েও জানানো হবে দেশ-বিদেশের অতিথিদের। অনন্ত তাঁর এই উদ্যোগের কথা যখন বলছিলেন, তখনও চোখের জল ফেলতে দেখা যায় বাবা মুকেশকে।