গভীর কুয়োয় পড়ে গিয়ে বালক আটকে রইল প্রায় ২৪ ঘণ্টা। — ফাইল ছবি।
প্রায় ২৪ ঘণ্টা চেষ্টার পর মধ্যপ্রদেশের বিদিশার কুয়ো থেকে ৭ বছরের বালককে উদ্ধার করা সম্ভব হল। কিন্তু তাঁকে প্রাণে বাঁচানো যায়নি। পরীক্ষা করার পর চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান মৃত বালকের পরিবারকে এককালীন ৪ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিদিশার খেরখেড়ি পাথার গ্রামে বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করছিল ৭ বছরের ওই বালক। সকাল ১১টা নাগাদ খেলতে খেলতেই আচমকা সে পড়ে যায় প্রায় ৬০ ফুট গভীর একটি কুয়োয়। জানা গিয়েছে, কুয়োর মধ্যে ৪৩ ফুট গভীরতায় সে আটকে ঝুলতে থাকে। গ্রামবাসীরা উদ্ধারকারী দলকে খবর দেন। উদ্ধারকারীরা এসে ওই কুয়োর সমান্তরাল আরও একটি কুয়ো খোঁড়া শুরু করেন। যাতে বালকটিকে বার করে আনা যায়। ৬০ ফুটের কুয়োতে অক্সিজেন পাঠানো হয় যাতে শ্বাসকষ্ট না হয়। উদ্ধারকাজে নামে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সঙ্গে ছিল রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, পুলিশ এবং দমকল। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর উদ্ধারকারীরা সমান্তরাল কুয়োয় বালকের কাছাকাছি পৌঁছন। উদ্ধার করা হয় বালকটিকে। আনা হয় উপরে। সেই সময় অচেতন অবস্থায় ছিল বালকটি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে প্রিন্সের কথা। বস্তুত, মধ্য এবং উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় পানীয় এবং চাষের জলের প্রয়োজনে এ ভাবেই কুয়ো খোঁড়ার রীতি প্রচলিত। তাতেই মাঝেমধ্যে পড়ে যায় বালক-বালিকারা। কুয়োয় পড়ে মৃত্যু হয়েছে গবাদি পশুদেরও। মঙ্গলবারই মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরে পড়ে যায় ৫ বছরের এক বালক। ৯ ঘণ্টা চেষ্টার পর তাকে উদ্ধার করা হয়। তাকেও বাঁচানো যায়নি।