আগ্নেয়গিরি পিকো দে ওরিজাবা (৫৬৩৬ মিটার) জয় করলেন সত্যরূপ সিদ্ধান্ত। ছবি: সংগৃহীত।
আমেরিকার সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরি পিকো দে ওরিজাবা (৫৬৩৬ মিটার) জয় করলেন সত্যরূপ সিদ্ধান্ত। বুধবার ভারতীয় সময় রাত ২টো নাগাদ ওই আগ্নেয়গিরির মাথায় ওঠেন সপ্তশৃঙ্গজয়ী এই যুবক। আগামী মাসে দক্ষিণ মেরুর সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরি মাউন্ট সিডলিতে যাচ্ছেন সত্যরূপ। তা জয় করতে পারলে সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে সপ্ত আগ্নেয়গিরি (সাত মহাদেশের সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরি) এবং সপ্তশৃঙ্গ জয়ের বিশ্ব রেকর্ড করবেন তিনি।
তবে পিকো থেকে নামার সময়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন তিনি ও তার দু’জন সঙ্গী। কোমর ভেঙে যায় সত্যরূপের গাইড সালভাডর ডেলগাডিয়োর। বেঙ্গালুরুর দীপাঞ্জন দাস ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ মেসেজে জানতে পারেন, ফেরার পথে বিপদে পড়েছেন তাঁর পর্বতারোহী বন্ধু। কয়েক ঘণ্টা পরে যখন যোগাযোগ করতে পারেন, তখন গাইডকে টেনে টেনে নীচে নামানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন সত্যরূপ ও মাও নামে আর এক সঙ্গী।
পরে হাসপাতালে যাওয়ার পথে সত্যরূপ ফোনে আনন্দবাজারকে বলেন, ‘‘সামিট থেকে নামতে শুরু করার এক ঘণ্টা পরেই বিশাল পাথর ভেঙে সোজা সালভাডরের গায়ে এসে লাগে। তার পরে আমার গায়ে লাগে। মাথায় এসে পড়লেই হয়েছিল আর কি!’’ পাশে সরে গিয়ে নামার চেষ্টা করেন সত্যরূপেরা। তখনই বোঝা যায়, ডান পা একেবারেই নাড়াতে পারছেন না ওই গাইড। সত্যরূপের কথায়, ‘‘আমি পেনকিলার খেয়ে নিয়েছিলাম। তার পরে পাথর সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করি। আর মাও গাইডকে নামাতে থাকেন। এই ভাবে বেসক্যাম্প পর্যন্ত যখন প্রায় পৌঁছে গিয়েছি, তখন উদ্ধারকারীদের সঙ্গে দেখা।’’ পরে হাসপাতালে পরীক্ষার পরে জানা যায়, কোমর ভেঙেছে সালভাডরের। তবে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন আপাতত নেই।
গত অক্টোবরে মেক্সিকোর এই আগ্নেয়গিরিতে খারাপ আবহাওয়ার কারণে মারা গিয়েছিলেন তিন পর্বতারোহী। তাই সত্যরূপের পরিবার ও বন্ধুদের দুশ্চিন্তা ছিলই। মা গায়ত্রী বলেন, ‘‘আশঙ্কায় রাতে ঘুমোতেও পারিনি। এখন বুঝছি, চিন্তাটা অমূলক ছিল না।’’ আগামী ১১ তারিখ কলকাতায় ফিরছেন সত্যরূপ।