—প্রতীকী চিত্র।
পুত্রসন্তান জন্মেছে। কিন্তু সে মূক ও বধির। এই সন্তানকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিত্য অশান্তি লেগে থাকত। তেমনই এক অশান্তির দিন রাগের মাথায় ছ’বছরের শিশুকে নিয়ে গিয়ে কুমিরভর্তি খালের জলে ফেলে দিলেন মা। সকালে উদ্ধার হল শিশুর ক্ষতবিক্ষত দেহ।
ঘটনাটি কর্নাটকের উত্তর কন্নড় জেলার হালামাডী গ্রামের। অভিযুক্ত মহিলার নাম সাবিত্রী। ৩২ বছর বয়সি ওই মহিলা শনিবার রাতে তাঁর সন্তানকে খালের জলে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। স্বামী রবি কুমারের সঙ্গে ছেলেকে নিয়েই তাঁর ঝগড়া হয়েছিল। পুলিশ ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শিশুটির জন্মের পর থেকেই কথা বলতে এবং শুনতে সমস্যা হত। তা নিয়ে দম্পতির মধ্যে নিত্য অশান্তি চলত। শনিবারও তেমনই অশান্তি শুরু হয়েছিল বিকেল থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, রাত ৯টা নাগাদ স্থানীয় কালী নদীর খালে ছেলেকে ছুড়ে ফেলে দেন অভিযুক্ত। ওই খালে প্রচুর কুমির রয়েছে। এলাকার কারও তা অজানা ছিল না। জেনেশুনে ছেলের মৃত্যু নিশ্চিত করতেই তাকে কুমিরভর্তি খালে ফেলে দেন মা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। কিন্তু রাতের অন্ধকারে ওই খাল থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। দমকল ডেকে তল্লাশি অভিযান চালানো হলেও মেলেনি সাফল্য। পরের দিন সকালে খালের একটি কুমিরের মুখ থেকে শিশুটির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার একটি হাত ছিল না। দেহের সর্বত্র ছিল আঘাত এবং কামড়ের চিহ্ন।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলা আশপাশের কয়েকটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। তাঁর স্বামী পেশায় রাজমিস্ত্রি। দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।