Adultery

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে বাধা! সাপের কামড় খাইয়ে শাশুড়িকে খুন মহিলার, অবশেষে গ্রেফতার

সাপের ছোবল দিয়ে খুনের ঘটনায় আলপনা, তাঁর প্রেমিক ও অপর এক অভিযুক্তকে সম্প্রতি গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জয়পুর শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২০ ১৪:১০
Share:

প্রেমিকের সাহায্যে শাশুড়িকে হত্যা। অলঙ্করণে তিয়াসা দাস।

মাস ছয়েক আগে সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছিল সুবোধ দেবী নামের এক মহিলার। ওই মহিলার আত্মীয়ের দায়ের করা অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে সম্প্রতি পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রেমিকের সহায়তায় সাপের কামড় খাইয়ে শাশুড়িকে হত্যা করে ছেলের বউ আলপনা। সাপের ছোবল দিয়ে খুনের ঘটনায় আলপনা, তাঁর প্রেমিক ও অপর এক অভিযুক্তকে সম্প্রতি গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

আলপনার সঙ্গে সচিনের বিয়ে হয়েছিল ২০১৮-র ১২ ডিসেম্বর। সচিন ও তাঁর ভাই চিরন্তন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কাজ করেন। কাজের সূত্রে তাঁরা বাইরে থাকেন। সুবোধ দেবীর স্বামীও কাজের জন্য বাইরে থাকতেন। রাজস্থানের ঝুনঝুনি জেলার এক গ্রামে ছেলের বউ আলপনার সঙ্গেই থাকতেন সুবোধ দেবী।

তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, স্বামী বাইরে থাকাকালীন মণীশ নামের এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে আলপনার। ফোনে প্রায়শই চলত তাঁদের প্রেমালাপ। তা জানতে পেরে আপত্তি জানান সুবোধ দেবী। তখনই তাঁকে এমন ভাবে খুন করার পরিকল্পনা করেন আলপনা ও তাঁর প্রেমিক, যাতে কোনও সন্দেহ তাঁদের উপর না বর্তায়। সেই মতো ২০১৯-এর জুনে সাপের কামড় দিয়ে মেরে ফেলা হয় তাঁকে।

Advertisement

আরও পড়ুন: সিএএ ও এনআরসি নিয়ে নৌকায় অভিনব প্রতিবাদ মৎস্যজীবীদের, দেখুন ভিডিয়ো

কিন্তু ঘটনার প্রায় দেড় মাস পর সুবোধ দেবীর আত্মীয়রা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়েই সামনে এল সত্যিটা। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন আলপনা ও মণীশের মধ্যে ১২৪টি ফোন কল হয়েছিল। আলপনার সঙ্গে মণীশের বন্ধু কৃষ্ণর ১৯ টি ফোন কল হয়েছিল। এ ছাড়াও তাঁদের মধ্যে মেসেজ চালাচালিও হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই পুলিশ জানতে পারে গোটা বিষয়। তার পর আলপনা, মণীশ ও কৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: ঐশীরা অভিযুক্ত, কিন্তু মুখোশধারীরা? দিল্লি পুলিশের ভূমিকায় বিতর্ক

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement