TMC Worker Shot Dead in Belgharia

বেলঘরিয়ায় দলীয় কার্যালয়ের সামনেই তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুন! সারা রাত পড়ে রইল দেহ

মঙ্গলবার রাতে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের কাছে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বসেছিলেন রেহান। তখনই ঘটনাটি ঘটে। সে সময় কয়েক জন দুষ্কৃতী এসে তাঁকে গুলি করে চলে যায় বলে অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৪২
Share:
তৃণমূল কর্মী রেহান খানের মৃত্যুতে ঘটনাস্থলে চলছে পুলিশি তদন্ত।

তৃণমূল কর্মী রেহান খানের মৃত্যুতে ঘটনাস্থলে চলছে পুলিশি তদন্ত। — নিজস্ব চিত্র।

বেলঘরিয়ার রাজীবনগরে উদ্ধার হল তৃণমূল কর্মীর গুলিবিদ্ধ দেহ। বুধবার সকালে স্থানীয়েরাই ওই যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement

বুধবার সকালে ব্যস্ত রাস্তার ধারে যুবকের দেহ মেলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতের নাম রেহান খান। রেহান ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী বলে পরিচিত। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের কাছে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বসেছিলেন রেহান। তখনই ঘটনাটি ঘটে। সে সময় কয়েক জন দুষ্কৃতী এসে তাঁকে গুলি করে চলে যায় বলে অভিযোগ। একটি গুলি রেহানের ঘাড়ে এসে লাগে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ও ভাবেই সারা রাত রাস্তায় পড়েছিলেন তিনি। সকালে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তত ক্ষণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বেলঘরিয়া থানা-সহ ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকেরা। কে বা কারা গুলি চালিয়েছেন, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদও করছেন তদন্তকারীরা। ঘটনাস্থল থেকে মদের বোতলও উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতের পরিবারের দাবি, রেহানকে খুনের নেপথ্যে হাত রয়েছে সুশান্ত নামে তৃণমূলেরই এক কর্মীর। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই রেহানের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিবাদ ছিল সুশান্তের। ছ’মাস আগে রেহানের মাথায় বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগে গ্রেফতারও হয়েছিলেন সুশান্ত। সেই ঘটনার ছ’মাসের মাথায় খুন হতে হল রেহানকে। খবর পেয়ে পৌঁছোন এলাকার কাউন্সিলর দেবযানীও। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশের উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তদন্তের পর জানা যাবে কারা খুন করেছেন। দোষীদের কঠোর শাস্তি হোক।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement