প্রতীকী ছবি।
তামিলনাড়ুতে জাল্লিকাট্টু খেলার ময়দানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চারে। গত কাল মাদুরাইয়ে ষাঁড়ের শিঙে থেঁতলে গিয়েছিল এক কিশোর দর্শক। আজ শিবাঙ্গনা ও আভারানগাড়ু থেকে এল আরও তিন জনের মৃত্যুর খবর। তা সত্ত্বেও রাজনৈতিক দলগুলি মদত দিয়েই চলেছে এই বিতর্কিত খেলাকে। ষাঁড়কে বাগে আনতে পারলে, গাড়ি থেকে শুরু করে এক রাশ দামী পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে শাসক দল। প্রতিযোগিতায় হাজিরও হলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ই পলানীস্বামী ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী পনীরসেলভম।
পশু নির্যাতন ও বিপজ্জনক খেলা হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের আদেশে ৩ বছর নিষিদ্ধ ছিল জাল্লিকাট্টু। কিন্তু তামিলনাড়ুর জনমতের চাপে অর্ডিন্যান্স এনে খেলাটি ফের চালু করে তামিলনাড়ু সরকার। মাদুরাইয়ের আলাঙ্গানাল্লুর গ্রামের যে মাঠে মুখ্যমন্ত্রী ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী হাজির ছিলেন, সেখানে জড়ো হন শাসক দল এআইএডিএমকে-র নেতারা। সামনেই দু’টি দামি গাড়ি। তাদের গায়ে সাঁটা এআইএডিএমকের প্রতীক ও প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার ছবি। একটি গাড়ি পেয়েছেন ষাঁড় নিয়ন্ত্রণে পারদর্শী প্রতিযোগী। অন্য গাড়িটি সেরা ষাঁড়ের মালিক।
পিছিয়ে নেই এআইডিএমকে-র অন্য শিবিরের নেতা টিটিভি দিনকরনের শিবিরও। সম্প্রতি প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার আর কে নগর আসনটি দখল করেছেন তাঁর ভাইপো দিনকরন। তিনি জানান, মাদুরাইয়ে জাল্লিকাট্টু-র বিজেতাদের বিনামূল্যে সিঙ্গাপুরের টিকিট দেবেন। ডিএমকে নেতা স্ট্যালিনের পক্ষ থেকে বিজয়ীদের সোনার আংটি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আজ এই খেলাতে অংশ নিয়েছেন ১২০০ প্রতিযোগী। ছিল এক হাজার ষাঁড়। পোঙ্গল উৎসবে কমবয়সি ছেলেরা ষাঁড়ের সঙ্গে লড়েন। পশুপ্রেমী সংগঠনের দাবি, সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও খেলায় পশু নির্যাতন চলছে। কোথাও ষাঁড়েরা ১৫-২০ ঘণ্টা খাবার পায়নি। কোথাও ষাঁড়ের শিং ধরার জন্য বেশ কয়েক জন প্রতিযোগীদের বাতিল করা হয়েছে।