হবে আরও পঠানকোট, হুমকি সইদের

পঠানকোটের ধাঁচে ভারতে আরও হামলা করার হুমকি দিলেন পাক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার প্রধান হাফিজ সইদ। গত কাল পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে তাঁর এই ঘোষণায় উদ্বিগ্ন দিল্লি। কারণ, পঠানকোটের পরে নওয়াজ শরিফ সরকার জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে বলে মনে করেছিল ভারত। কিন্তু সইদের এই ঘোষণার পরে দিল্লির আশঙ্কা, শরিফের নিয়ন্ত্রণ ফের আলগা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৪:০৯
Share:

হাফিজ সইদ

পঠানকোটের ধাঁচে ভারতে আরও হামলা করার হুমকি দিলেন পাক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার প্রধান হাফিজ সইদ। গত কাল পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে তাঁর এই ঘোষণায় উদ্বিগ্ন দিল্লি। কারণ, পঠানকোটের পরে নওয়াজ শরিফ সরকার জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে বলে মনে করেছিল ভারত। কিন্তু সইদের এই ঘোষণার পরে দিল্লির আশঙ্কা, শরিফের নিয়ন্ত্রণ ফের আলগা হচ্ছে।

Advertisement

গত কাল পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের একটি জনসভায় সইদ বলেন, ‘‘কাশ্মীরে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে আট লক্ষ ভারতীয় সেনা। আত্মরক্ষায় কাশ্মীরিদের পঠানকোটের ধাঁচে আক্রমণ শানানোর অধিকার আছে।’’ অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ ইউনাইটেড জিহাদ কাউন্সিল (ইউজেসি)-এর প্রধান সৈয়দ সালাউদ্দিন ওই বক্তব্যকে সমর্থন করেন। পঠানকোটে হামলার দায় নিয়েছিল এই ইউজেসি-ই। সইদ এর পরে বলেন, ‘‘একটা পঠানকোট হয়েছে। চাইলে আরও হতে পারে।’’ ভারতীয় গোয়েন্দাদের মতে, নাশকতামূলক কার্যকলাপে যুবকদের নিয়োগ করতে ভারত-বিরোধী জিগির তুলেছেন সইদ।

সইদের এই ঘোষণার পরে দিল্লির কর্তাদের কপালে নতুন করে ভাঁজ পড়েছে। লস্কর প্রধান মুম্বই হামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। তাঁর সংগঠন লস্কর তথা জামাত-উদ-দাওয়াকে নিষিদ্ধ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। আমেরিকাও সইদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেলে ১ কোটি ডলার পুরস্কার দিতে রাজি। এমনকী, পাক সরকারও জানিয়েছে
জামাত-উদ-দাওয়ার কাজকর্ম ‘সন্দেহজনক’। মাঝে আন্তর্জাতিক চাপে সইদ নিজের গতিবিধি কমিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু গত মাসে ফের একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেন লস্কর প্রধান। এ বার জনসভাতেও দেখা গেল তাঁকে।

Advertisement

পঠানকোট হামলার নিন্দা করেছিলেন পাক সেনা এবং আইএসআই প্রধান। ফলে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির চাপ সত্ত্বেও জঙ্গি দমনে শরিফ এ যাত্রা সেনা এবং আইএসআইকে পাশে পেয়েছেন বলে মনে করেছিল দিল্লি। ভারতের সঙ্গে যৌথ তদন্তের জন্য গঠিত কমিটিতে আইএসআই অফিসারেরাও রয়েছেন। কিন্তু সেনার সমর্থন যে শরিফ বরাবর নাও পেতে পারেন, তাও আঁচ করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। সইদের নয়া জনসভা সেনা ও মোল্লাতন্ত্রের যৌথ চাপের ফসল বলে ধারণা সাউথ ব্লকের।

বিষয়টি নিয়ে তাই কড়া সুরে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। আজ মন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক ভাবে
স্বীকৃত সন্ত্রাসবাদী হাফিজ সইদের গতিবিধি আটকানোর দায়িত্ব পাকিস্তানের। তিনি যে প্রকাশ্য জনসভায় এমন বক্তৃতা দিতে পারছেন, সেটা যথেষ্ট উদ্বেগজনক।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement